জি-৭ সম্মলনের আগেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, বিশ্বের কাছে অস্ত্র সাহায্যের আবেদন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের
জি-৭ সম্মলনের আগেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, বিশ্বের কাছে অস্ত্র সাহায্যের আবেদন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের
জার্মানিতে জি-৭ বৈঠকের মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বিশ্বের কাছে অস্ত্র সরবরাহের আবেদন জানান। রাশিয়া গত সপ্তাহের শেষের দিকে ইউক্রেনের একাধিক শহরে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরফলে ইউক্রেনের এক নাগরিকের মৃ্ত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, পূর্ব ইউক্রেনের সেভেরোডোনেটস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়া নিয়েছে। জি-৭ সম্মেলনের ঠিক আগে ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ভয় দেখানোর জন্য বলে ইউক্রেন প্রশাসন মনে করছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি একটি ভিডিও বার্তায় পশ্চিমি দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করার আবেদন করেন। জি-৭ সম্মলনেও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। রাশিয়া কিয়েভ, উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ, উত্তরের চেরনিহিভ ও লাভিভকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
লাভিভ শহরটি ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া কাস্পিয়ান সাগর থেকে ইউক্রেনের একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইউক্রেন প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে কিয়েভে নয়তলা বিল্ডিংয়ের ওপরের অংশটি ধ্বংস হয়ে যায়। সাত বছরের একটি শিশু গুরুতর আহত হয়। অস্ত্রোপচার করতে হয়। বর্তমানে শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ওই শিশুটির মা একজন রুশ নাগরিক। তাঁকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে নির্ভুল হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সেভেরোডোনেটস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। শহরের বেশিরভাগ শিল্পকে রুশ সেনাবাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে বলে ইউক্রেন অভিযোগ করেছে। লিসিচাস্ক শহর থেকে রুশ সেনা সরে গিয়েছে বলে ইউক্রেনের সামরিক দফতর থেকে জানানো হয়েছে। লুহানস্ক শহরের বেশ কয়েকটি অংশ এখনও ইউক্রেন সেনাদের দখলে রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছে, ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া বর্তমানে রাশিয়ার প্রধান লক্ষ্য।
ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের আবহের মধ্যেই জার্মানিতে জি-৭ বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বৈঠকে রুশ সোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রুশ অর্থনীতির ওপর আঘাত হানতেই জি-৭ এর সদস্যদেশগুলো রাশিয়ার সোনা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির বিষয়ে সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে খাদ্যের ঘাটতি দেখা করা যেতে পারে আশঙ্কা করছে রাষ্ট্রসংঘ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা সহ বিশ্বের একাধিক দেশ এর জন্য রাশিয়াকে দায়ী করছে। পাল্টা রাশিয়া দাবি করেছে, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার জেরেই এই খাদ্য সঙ্কটের সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
বহির্জাগতিক জীবনের খোঁজে অত্যাধুনিক আবিষ্কার, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পাড়ি দেবে নয়া লক্ষ্যে