উত্তর-পূর্ব সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা! সেনা অনুশীলন এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি চিনের
পূর্ব লাদাখ সীমান্তের প্যাংগং সেক্টরে চিন অনুপ্রবেশের চেষ্টার পরেই গত সপ্তাহের শেষার্ধ থেকে ফের চড়ছে উত্তেজনার পারদ। তৈরি হয়েছে সংঘাতের আবহও। এরই মাঝে তিব্বতের একটা বিস্তৃর্ণ এলাকায় পরিকাঠামোগত উন্নতিতে জোর দিতে চাইছে বেজিং। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তিব্বত সীমান্তে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের খাতে ১৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৪ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন।
আগ্রাসন নীতির জেরে তলানিতে ভারত-চিন সম্পর্ক
লাদাখের গালওয়ানে চিন এবং ভারতের সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে একটা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। চিনা আগ্রাসন নীতির জেরে কার্যত তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্ক। এই অবস্থায় দুই পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এর মাঝেও চিনা সেনা নিজেদের আসল রং দেখাতে প্রস্তুত।
নতুন করে সামরিক কাঠামো তৈরি করছে চিনা সেনা
এর আগে জানা যায়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নতুন করে সামরিক কাঠামো তৈরি করছে চিনা সেনা। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্র দেখে জানা যায়, শুধু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নয়, চিন ও ভুটান সীমান্তে ডোকলামেও সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করছে চিন। অন্যদিকে সিকিম-চিন সীমান্তে নাকু লা-তে মোতায়েন করা হচ্ছে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
নেপাল ও তিব্বতের মধ্যেও রেলওয়ে স্থাপন
সূত্রের খবর, এছাড়াও নেপাল ও তিব্বতের মধ্যেও রেলওয়ে স্থাপনের উপর জোর দিতে চাইছে বেজিং। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা বর্তমানে চিন কাঠমান্ডুকে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগটসের সাথে তিব্বত-নেপাল রেলপথ সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে জুড়তে চাইছে। এরফলে ভারতের উপর পরোক্ষভাবে চাপ বৃদ্ধিও সম্ভব। বিভিন্ন নির্মাণ পরিকল্পনাগুলি মধ্যে সিচুয়ান-তিব্বত রেলপথের কাজও দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে চাইছে বেজিং।
ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চিনের
চিন ও ভারতের মধ্যে কয়েক মাসব্যাপী চলা সীমান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গত সপ্তাহে উভয় দেশের সামরিক কমান্ডাররা আলোচনায় বসেন। পূর্ব লাদাখের চুশুল সেক্টরের বিপরীতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ধারে মালডো বর্ডার পারসোনাল মিটিং পয়েন্টে আলোচনা সভা হলেও তা সমাধান হয়নি পুরো মাত্রায়। শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহে চিন তিনবার ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও করে।
তিব্বতে সেনা ড্রিল করে পিএলএ
এদিন জানা যায়, ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলতে থাকলেও ফের তিব্বতে সেনা ড্রিল করে পিএলএ-র তিব্বত কমান্ডের সেনা। এতেই ফের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলএসি বরাবর বিস্তীর্ণ এলাকায়। তাছাড়া উত্তর-পূর্বেও চিনা সেনার গতিবিধি বেড়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
শিক্ষা
ক্ষেত্রে
সরকারি
হস্তক্ষেপ
হওয়া
উচিত
ন্যূনতম!
এনইপি
২০২০
নিয়ে
বক্তব্য
পেশ
মোদীর