জৈবঅণু অণুবিক্ষণের পথ দেখিয়ে নোবেলজয়ী তিন দেশের তিন বিজ্ঞানী
আণবিক গবেষণায় ক্রায়ো ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপির গুরুত্ব অপরিসীম। এর আগেও এই আণবিক গবেষণায় সাফল্যের জন্য নোবলন পুরষ্কার পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপির উন্নতিতে যুগান্তকারী অবদান রাখার জন্য তিন দেশের তিন বিজ্ঞানী রসায়ন শাস্ত্রে নোবেল পেলেন এবার। এই তিন বিজ্ঞানীই ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপির উন্নতিতে জৈব-অণুগুলিকে অণুবিক্ষণের নয়া পন্থা আবিষ্কার করেছেন। বিজ্ঞানী ও গবেষক জ্যাকস ডুবোচেট, জোয়াশিম ফ্রাঙ্ক ও রিচার্ড হেন্ডারসন এবার সেই যুগান্তকারী আবিষ্কারেরই স্বীকৃতি পেলেন।
মঙ্গলবার পদার্থবিদ্যায় নোবেল জয়ী বিজ্ঞানীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি মহাকর্ষীয় তরঙ্গ অনুসন্ধানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার পান রেইনার ওয়েইস, ব্যারি সি ব্যারিশ ও কিপ এস থোর্নে। এদিন নোবেলজয়ী তিন রসায়ন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হল। ক্রায়ো-ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপি গবেষণায় শূন্যস্থান পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন তিন রসায়ন বিজ্ঞানী।
নোবেল কমিটি এদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণার ফলস্বরূপ জৈব অণুর গঠন সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা যাবে। ক্রায়ো ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ এতদিন বিস্তর ফাঁক ছিল। সমস্ত জৈব অণু অণুবীক্ষণ করা যেত না। তিন বিজ্ঞানীর নয়া প্রযুক্তি আবিষ্কারে সেই ফাঁক পূরণ হয়ে গেল। ফলে এখন থেকে সমস্ত জৈব অণুই তাঁর নির্দিষ্ট আকারে দৃশ্যমান হবে।
নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে একজন হলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক জ্যাকস ডুবোচেট। তিনি লুজান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। জার্মান বংশোদ্ভুত জোয়াশিম ফ্রাঙ্ক অধ্যাপনা করেন নিউইয়র্কে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর যুক্তরাজ্যের রিচার্ড হেন্ডারসন অধ্যাপনা করেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আণবিক গবেষণায় ক্রায়ো ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপির গুরুত্ব অপরিসীম। এর আগেও এই আণবিক গবেষণায় সাফল্যের জন্য নোবলন পুরষ্কার পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। গতবার জ্যাঁ পিয়েরে সোভাস, ফ্রেজার স্টোডার্ট ও বার্নাড এল ফেরিনগা মলিকিউলার মেশিন নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছিলেন নোবেল।