Russia-Ukraine Crisis: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আলবেনিয়ার একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেবে যা রাশিয়ার আগ্রাসন এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের নিন্দা করবে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী এবং ভেটোক্ষমতা থাকা সদস্য মস্কোকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর বিশ্ব মঞ্চে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী বৈঠক করে নিরাপত্তা পরিষদ৷ দু'দিন পর শুক্রবার (নিউ ইয়র্কের সময়) বিকাল ৩টায় নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের ভোট দেবে সদস্য দেশগুলি। মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে এ বিষয়ে রাশিয়া তার ভেটো ব্যবহার করবে এমন প্রত্যাশার সঙ্গে রেজোলিউশনটি নিরাপত্তা পরিষদের সামনে রাখছে আমেরিকা। এবং এটি করার মাধ্যমে "তারা তাদের বিচ্ছিন্নতাকে আন্ডারস্কোর করবে"।
নিরাপত্তা পরিষদের এই খসড়া রেজোলিউশটিতে রাশিয়ার আগ্রাসন, এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের নিন্দা করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ নিরাপত্তা পরিষদের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রেজুলেশনটি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে পুনর্নিশ্চিত করবপ। এটি রাশিয়াকে অবিলম্বে, সম্পূর্ণ এবং নিঃশর্তভাবে তার বাহিনী প্রত্যাহার করতে বলবে।
আধিকারিক আরও বলেছিলেন যে ইউএনএসসি রেজোলিউশনটি একটি প্রথম পদক্ষেপ, যা আগামী দিনে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে আবার উত্থাপিত হতে পারে।
বুধবার বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার পদক্ষেপের নিন্দায় সরব হয়েছে। অন্যদিকে নিরাপত্তা পরিষদের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, এই জঘন্য যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে সাধারণ পরিষদ এবং সারা বিশ্ব থেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলির সংঘবদ্ধতা গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের জন্য দেশটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে হ্যাঁ বলেনি আমেরিকা৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে ন্যাটোর সদস্য-দেশগুলির নীরবতায় অখুশি৷ এবং এবিষয়ে ইউরোপের নেতাদের নীরবতা ভাঙার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। এদিন তিনি বলেন, আজ আমি ইউরোপের ২৭ নেতাকে জিজ্ঞেস করেছি ইউক্রেন ন্যাটোতে থাকবে কি না। সরাসরি জিজ্ঞেস করলাম। কিন্তু সবাই ভয় পায়, উত্তর দেয় না।