তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে ধ্বংসাত্মক পারমানবিক শক্তির লড়াই দাবি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী ল্যাভরভের
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে ধ্বংসাত্মক পারমানবিক শক্তির লড়াই দাবি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী ল্যাভরভের
এর আগে 'ফাদার অফ অল বোম' ব্যবহারের হুমকি দিয়েছিল রাশিয়া৷ এবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ পারমানবিক যুদ্ধের কথা বললেন। ল্যাভেরভ বলেছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে পরমাণু অস্ত্রে যা মারাত্মক ধ্বংস সৃষ্টি করবে৷ একই সঙ্গে ল্যাভেরভের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন যে রাশিয়া ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেবে না। ল্যাভরভ বলেছেন যে রাশিয়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু পশ্চিমের দেশগুলি রাশিয়ার ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক সেক্টরের প্রতিনিধিদের টার্গেট করবে বলে আশা করেননি তিনি। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বুধবার সপ্তম দিনে প্রবেশ করেছে, কিয়েভ এবং অন্যান্য বড় শহরে আক্রমণ তীব্র করছে রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়োছে যে তারা ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবায় ব্যবহৃত জিনিসগুলিকে হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত করবে৷ রাশিয়ান বাহিনী তাদের সামরিক অভিযানকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। তারা রকেট এবং ভারী কামান দিয়ে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে বিধ্বংস শুরু করেছে। মঙ্গলবার খারকিভে গোলাগুলিতে নবীন নামে এক ভারতীয় ছাত্রও নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি খারকিভে গোলাগুলিকে 'যুদ্ধাপরাধ' বলে অভিহিত করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনীকে প্রস্তুতি রাখতে বলেছেন৷ ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলির সঙ্গে উত্তেজনা নিয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি মস্কো বারেন্টস সাগরে মহড়া চালিয়েছে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রতি তার সমর্থন জোরদার করেছেন কিন্তু বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত হবে না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে ন্যাটো অঞ্চলগুলোকে রক্ষা করবে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন অভিযোগ করেছে তাদের নাগরিকদের উপর 'ক্লাস্টার বোমা' ব্যবহার করছে রাশিয়া। সম্প্রতি আমেরিকাতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের উপর 'ক্লাস্টার বোমা' এবং 'ভ্যাকুয়াম বোমা' ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছে৷ কিয়েভ এবং আশেপাশের এলাকায় ৭দিন ধরে যুদ্ধ চলছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা রাশিয়ার এই ব্যবহারের নিন্দা করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলিও বলেছে যে রাশিয়ান বাহিনী ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে মনে হচ্ছে।