পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা চাইছে অধিকৃত কাশ্মীর! সরকারি ওয়েবসাইটে ফুটে উঠল কোন বার্তা?
সম্প্রতি হ্যাক করা হয় পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গণসংযোগ আধিকারিকের সরকারি ওয়েবসাইট। আর সেখানে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি গতবছরের বালাকোট অভিযান পরবর্তীতে দুই দেশের যুদ্ধবিমানের ডগফাইট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয় সেই বার্তায়। এছাড়া কাশ্মীরে পাক সেনা ও পুলিশের মানবাধিকা লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয় ওই বার্তায়।
পাকিস্তানের উপর ক্রমেই চাপ বাড়ছে
এদিকে পাকিস্তানের উপর ক্রমেই চিনের সঙ্গ ছাড়ার জন্য চাপ বাড়ছে। চিন চিরকালই পাকিস্তানকে নিজেদের পাশে পেয়েছে। বর্তমান লাদাখ উত্তেজনা ও করোনা আবহতেও পাকিস্তান অন্ধ ভাবে বেজিংকে অনুসরণ করছে। তবে এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্বের দরবারে খুব শীঘ্রই পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এই বিষয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ইসলামাবাদের কপালে।
লাদাখ সীমান্তে চরম উত্তেজনা
লাদাখ সীমান্তে চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি ভারত ও চিনের মধ্যে। এরই মধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে বারংবার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এরই মাঝে কাস্মীরে বেড়েছে জঙ্গি তৎপরতা। আর এরই মাঝে জানা গিয়েছে, গিলগিট-বালতিস্তানে প্রায় ২০ হাজার বাড়তি সেনা পাঠিয়েছে পাকিস্তান। লক্ষ্য, চিনা বাহিনীকে সহায়তা প্রদান করা।
গিলগিট-বাল্টিস্তান চিনকে 'দান'
পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা একটু একটু করে পাকিস্তান চিনকে 'দান' করেছে। এই অঞ্চলের এই এলাকাগুলি চিনের হাতে তুলে দেওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোরের রাস্তা আরও মসৃণ করা। ৩২১৮ কিলোমিটার লম্বা এই করিডোর আদতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'ড্রিম প্রোজেক্ট।' তবে এই প্রোজেক্টের জেরে পাকিস্তানের বালুচিস্তান ও গিলগিট-বাল্টিস্তান প্রদেশের মানুষরা ক্ষুব্ধ পাক সরকার ও চিনের উপর।
চাপে ইমরান খান
জানা গিয়েছে এই বিষয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক ইতিমধ্যেই সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বেজিং থেকে দূরত্ব তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছে। পাকিস্তানের আশঙ্কা, গোটা বিশ্ব যখন চিনের উপর খাপ্পা, সেই সময় চিনের সঙ্গ না ছাড়লে খুব শীঘ্রই, আমেরিকা সহ বিশ্বের সব শক্তিশালী দেশ পাকিস্তানকেও একঘরে করে দিতে পারে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের এয়ারলাইন্সের ইউরোপের মাটিতে অবতরণের অনুমতি কেড়ে নেওয়া হয়েছে।