প্যারিসের ব্যঙ্গ পত্রিকা শার্লি এবদোর সামনে সন্ত্রাসী হামলায় পাক যোগ ? গ্রেফতার ২
শুক্রবার
ফের
সন্ত্রাসী
হামলার
কবলে
পড়ে
ফ্রান্সের
বিখ্যাত
ব্যাঙ্গ
পত্রিকা
'শার্লি
এবদো’।
প্যারিসে
শার্লি
এবদোর
পুরনো
অফিসের
সামনে
ছুরি
হাতে
হামলা
চালায়
এক
সন্ত্রাসী।
এই
ঘটনায়
দুজন
সন্দেভাজবনকে
গ্রেফতার
করেছে
পুলিশ।
তার
দুজনের
মধ্যে
আপাতভাবে
কি
সম্পর্ক
রয়েছে
তাও
জানার
চেষ্টা
করছে
পুলিশ।
এবার
এই
হামলার
পিছনেও
নাম
জড়াল
পাকিস্তানের।
এদিকে হামলার কথা জানাজানি হওয়ার পরেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। শার্লি এবদোর দফতর সংলগ্ন রিচার্ড লেওনয়ের সাবওয়ে স্টেশন চত্ত্বরের প্রাণ হাতে করে পালাতে গিয়ে মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ঘটনায় আহত হন চার ৪ জন। যার মধ্যে ২ জনের অবস্থা রীতিমতো আশঙ্কাজনক।
এদিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজন সন্দেহভাজবনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে ইসলাম ধর্মপ্রচারক হজরত মহম্মদের বিতর্কিত কার্টুন ছাপার জেরে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে শার্লি অবদোর দফতরে হানা দেয় ইমলামী সন্ত্রাসীদের দল। মর্মান্তিক ওই জঙ্গি হানায় ফ্রান্সের বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট-সহ ১২ জন প্রাণ হারান। এদিকে এই ঘটনার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়াও ফের শুরু করেছে ফ্রান্স প্রশাসন।
সূত্রের খবর, ৫ বছরের আগের হামলার সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় সৈয়দ ও শেরিফ কুয়াচ্চির দুই আততায়ীর। এদিক চলতি মাসেই আরও ১৪ জন অভিযুক্তের বিচার শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে একজনকে গত মাসেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা এই ঘটনার জেরেই ফের চটেছে সন্ত্রাসীরা। তাতেই শুক্রবার শার্লি এবদোর পুরনো অফিসের সামনে হানা দেয় এক ইসলামী উগ্রপন্থী।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরেই পূর্ব প্যারিসের বাস্টিল ওপেরার কাছ থেকে প্রধান সন্দেহভাজন এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কপালেও সেই সময় রক্তের দাগ ছিল বলে জানা যায়। এই জায়গাটি শার্লি এবদোর পুরনো অফিস থেকে খুব একটা দূরে না। পুলিশের ধারণা হামলা চালানোর পর প্রাথমিক ভাবে এখানেই ঘাপটি মেরে পড়েছিল আততীয়।
এদিকে শুক্রবারের হামলায় গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজনের আসল বাড়ি পাকিস্তানে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। প্রায় তিন বছর আগে সে ফ্রান্সে আসে। যদিও তখন সে নাবালক ছিল বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে শুক্রবার তার সঙ্গে এই ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগে আরও একজনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরিচয়ও যাচাই করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে সাংবাদ মাধ্যমের উপর এহেন নক্কারজনক ঘটনার কড়া নিন্দা করতে দেখা যায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিনকে।