এখনই লাফালাফি ঠিক নয়, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আরও অনেক কাজ বাকি, দাবি অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীর
অক্সফোর্ডের বহু প্রতিক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধে উপযুক্ত ওষুধ। করোনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই ভ্যাকসিনে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে শুধু প্রথম ধাপ পেরিয়েছে। তবে এটা নিয়ে আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলে জানালেন বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রিউ পোলার্ড।
কী বলেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানী
এই বিষয়ে পোলার্ড বলেন, 'আমরা ভ্যাকসিন বিকাশের প্রথম বড় মাইলফলক পৌঁছেছি, যা দেখায় যে ভ্যাকসিনটি সঠিক প্রতিক্রিয়ায় তৈরি করা হয়েছে এবং এটি অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আমাদের এখনও প্রমাণ করতে হবে যে ভ্যাকসিনটি আসলে কাজ করে এবং মানুষকে সুরক্ষা দেয়।'
ভ্যাকসিন পরীক্ষার রেজাল্ট
গতকালই অক্সফোর্ডের করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, এই ভ্যাকসিন পুরোপুরি নিরাপদ। পাশাপাশি এই ভ্যাকসিনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও প্রায় নেই। প্রায় হাজার জনের উপরে চালানো তাঁদের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা।
করোনা থেকে কি বাঁচবে বিশ্ব
মারণ সংক্রমণ করোনায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতি থেকে ততদিন নিস্তার পাওয়া যাবে না, যতদিন না এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। ChAdOx1 nCoV-19 নামক এই ভ্যাকসিন সেই লক্ষ্যেই তৈরি করা হচ্ছে। ১০ জানুয়ারি থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের কাজ শুরু করেছে অক্সফোর্ড।
কীভাবে কাজ করবে এই ভ্যাকসিন
জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের জেনেটিক তথ্যধারী আরএনএ-কে একটি কমন ভাইরাসে ইঞ্জেক্ট করে করোনা ভাইরাসের একটি নকল তৈরি করা হয়। এটা এরপর মোডিফাই করে শরীরে ইঞ্জেক্ট করা হয়। কমন ভাইরাস ভেক্টর বা বাহক হিসাবে কাজ করে। সেটাই শরীরে এই মডিফাইড ভাইরাসটিকে অ্যান্টিবডিতে পরিণত করে। অ্যাডেনোভাইরাল ভ্যাকসিন ভেক্টর ও সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনের স্পাইক প্রোটিনকে কাজে লাগিয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে।
করোনারোধী এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের নেপথ্যে যারা
করোনারোধী এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও গবেষনার নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক-বিজ্ঞানী সারা গিলবার্ট। যিনি ইবোলা মহামারী প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন তৈরির দিশা দেখিয়েছিলেন। এছাড়া রয়েছেন অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা লাম্বে, অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল ও ড স্যান্ডি ডগলাস।