প্রত্যেক পাঁচজনের মধ্যে একজন জওয়ান মানসিক অসুস্থ! চিন সেনার 'গভীর অসুখ' ফাঁস রিপোর্টে
বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ চিন! সমরাস্ত্রে তো বটেই, সেনাবাহিনীতেও বিশ্বের অন্যতম বড় ফোর্স রয়েছে সে দেশে। কিন্তু সে দেশের বাহিনীই একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে নাকি যাচ্ছে। বিশেষ করে চিনের সেনাবাহিনীতে কর্মরত জওয়ানদের মেন্টা
বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ চিন! সমরাস্ত্রে তো বটেই, সেনাবাহিনীতেও বিশ্বের অন্যতম বড় ফোর্স রয়েছে সে দেশে। কিন্তু সে দেশের বাহিনীই একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে নাকি যাচ্ছে। বিশেষ করে চিনের সেনাবাহিনীতে কর্মরত জওয়ানদের মেন্টাল হেলথ (mental health) রীতিমত নাকি ঝুঁকিতে রয়েছে।
এই বিষয়ে কমিউনিস্ট চিন সরকার নজর না দিলে অচিরেই সেই ফৌজ তাসের ঘরের মধ্যে ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা।
একজন জওয়ান স্ট্রেস বা অন্যান্য মানসিক রোগে ভুগছেন
সম্প্রতি একটি রিপোর্ট ঘিরেই এমন আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, লালফৌজ (PLA)-এর প্রত্যেক পাঁচজনের মধ্যে একজন জওয়ান স্ট্রেস বা অন্যান্য মানসিক রোগে ভুগছেন। আর পিছনে নাকি দায়ী একমাত্র দায়ী জিংপিং। তাঁর একের পর এক তুঘলকি সিদ্ধান্ত চিনা ফৌজে সবসময়ের চাপের মধ্যে রাখে। শুধু তাই নয়, জিংপিংয়ের বিস্তারবাদী নীতি এবং যুদ্ধ করে জয়ী হওয়ার একগুঁয়েমি লালফৌজকে আরও বিপদের মধ্যে ফেলছে বলে দাবি ওই রিপোর্টে।
নতুন কাউন্সেলিং কোর্স শুরু করেছে চিন
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশিত হয়। আর সেই খবর অনুযায়ী, চিন তার দেশের সৈন্যদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে এবং সমস্ত মানসিক চাপ দূর করতে একটি নতুন কাউন্সেলিং কোর্স শুরু করেছে। এমনকি লাগাতার সেনা আধিকারিকদের জওয়ানদের সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি মেন্টালি স্ট্রেশের বিষয়ে আলোচনার ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। যাতে দ্রুত এই সমস্যা থেকে চিনের ফৌজকে বের করে আনা যায় এবং যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত রাখা যায়। এমনটাই দাবি ওই প্রকাশিত খবরে।
মাইনাস ৫০ তাপমাত্রাতে জওয়ানদের থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে
একদিকে, এলএসি-তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উচ্চ উচ্চতা অঞ্চলের অসুবিধাগুলি মোকাবেলা করার জন্য কঠোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মাইনাস ২০ থেকে মাইনাস ৫০ তাপমাত্রাতে চিনের সেনা-জওয়ানদের থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যদিকে দক্ষিণ চিন সাগরেও রীতিমত চাপের মধ্যে রয়েছে চিনের লালফৌজ। ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যম বলছে, ভারতীয় সীমান্তে মোতায়েন চিনের বাহিনীর অবস্থা খুবই খারাপ। সিয়াচেন মতো উঁচু এলাকাতে ভারতকে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা চিনা ফৌজ রাখে না।
পরিবারের থেকে দূরে রাখা হচ্ছে
এই অবস্থায় পূর্ব লাদাখে বিরোধের পর থেকে, অর্থাৎ গত দুই বছর ধরে সে দেশের বাহিনী প্রতি মৌসুমেই সীমান্তে পাহাড়ায় রয়েছে। যদিও ৯০ শতাংশেরও বেশি বাহিনীকে ইতিমধ্যে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে চিনে ভয়ঙ্কর করোনার সংক্রমণ ঘটছে। এই অবস্থায় একাধিক বিধি নিষেধ লাঘু করা হয়েছে বাহিনীতে। এমনকি পরিবারের সঙ্গে দেখাও করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি। এই অবস্থায় মানসিক চাপ আরও বাড়ছে। আর সেটাই লাল ফৌজকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে মত ওই রিপোর্টে।