তেলের দাম পড়ছে হু-হু করে, করোনার ‘দ্বিতীয় তরঙ্গে’ বিশ্ববাজারে কমেই চলেছে চাহিদা
করোনা ভাইরাসের বিশ্বমহামারীতে তেলের চাহিদা যত কমছে, তাল মিলিয়ে তোলের দামও পড়ছে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
করোনা ভাইরাসের বিশ্বমহামারীতে তেলের চাহিদা যত কমছে, তাল মিলিয়ে তোলের দামও পড়ছে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। সোমবার তেলের দাম অধিকমাত্রায় হ্রাস পায়। তার কারণ করোনা সংক্রমণের ঢেউ বিশ্বব্যাপী আছড়ে পড়ায় চাহিদা কমছে। সৌদি আরবও অতিরিক্ত সরবরাহ ও সীমিত দামের ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তেলের দাম হ্রাস পেয়েছে
ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস ব্যারেল প্রতি দাম ২৯.৬০ ডলার দাঁড়িয়েছে। ৪.৪ শতাংশ হারে ১.৩৭ ডলার হ্রাস পেয়েছে মূল্য। একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডাব্লুটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম হ্রাস পেয়েছে ৬০ সেন্ট। অর্থাৎ ২.৪ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ২৪.১৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে ওই দাম।
তেলের চাহিদাও কমেছে
বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা প্রায় ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কারণ করোনা ভাইরাস মহামারীতে বিশ্বজুড়ে পরিবহণ ব্যবস্থা থমকে গিয়েছে। ভাইরাসজনিত কারণে এ বছর অপরিশোধিত ফিউচার ৫৫ শতাংশের বেশি কমেছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে লকডাউন হ্রাস পাওয়ায় চাহিদা সামান্য বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বর্তমানে।
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে তেলের চাহিদায় কোপ
সোমবার জার্মানির তরফে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণটি লকডাউন লঘু করার পরে দ্রুত ত্বরান্বিত হচ্ছে। চিনে করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহানে এক মাস আগে লকডাউন ওটে। তারপরে সংক্রমণের প্রথম ক্লাস্টার হয়ে ওঠে। ফের করোনার থাবায় তেলের চাহিদা বাড়ছে না। রবিবার দক্ষিণ কোরিয়া ভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ সম্পর্কে সতর্কও করেছিল।
তেলের চাহিদা নেই, উৎপাদনেও কোপ
সৌদি এনার্জি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, প্রথমের দিকে তেলের দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে জাতীয় তেল সংস্থা সৌদি আরমেকোকে অপরিশোধিত তেলের উত্পাদনকে প্রতিদিন আরও এক মিলিয়ন ব্যারেল কমাতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণানয়।
কী হতে চলেছে করোনা লকডাউন ৪.০ স্পেশাল আর্থিক প্যাকেজ, কোন দিকে আশা দেখছেন দেশবাসী