Nepal Plane crash: চিনা নির্মাণ সংস্থার তৈরি পোখরা বিমানবন্দর তাড়াহুড়ো করে ১ জানুয়ারি খুলে দেওয়া হয়
Nepal Plane crash: চিনা নির্মাণ সংস্থার তৈরি পোখরা বিমানবন্দর তাড়াহুড়ো করে ১ জানুয়ারি খুলে দেওয়া হয়
নেপালের পোখরায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিমান দুর্ঘটনার কারণ এখনই স্পষ্ট ভাবে জানা না গেলেও, বিমান বন্দরে ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। আর এই ল্যান্ডিংয়ের কারণ সন্ধানেই বেরিয়ে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে একটি চিনা সংস্থা বিমানবন্দরটি তৈরি করেছিল। এবং নির্মাণ প্রক্রিয়া পুরোপুরী শেষ হওয়ার আগেই তাড়াহুড়ে করে ১ জানুয়ারি সেটি খুলে দেওয়া হয়।
নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন কমপক্ষে ৩২ জন। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানটিতে ৭২ জন যাত্রী ছিলেন। কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে বিমানটি ভেঙে পড়ে। প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধারকাজ শুরু করেছিল। তারপরে স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। মৃতদের তালিকায় ৫ ভারতীয়ও রয়েছে। নেপালের পোখরা বিমান বন্দরের কাছেই ঘটেছে দুর্ঘটনাটি।
নেপালের বিমান দুর্ঘটনার পরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই খুলে দেওয়া হয়েছিল পোখরা বিমানবন্দরটি। ২০২৩ সালের শুরুতেই ১ জানুয়ারি বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়া হয়। এটি তৈরি করেছে একটি চিনা সংস্থা। চিনের সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারি লিমিটেড বিমানবন্দরটি তৈরি করছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর অবতরণের সমস্যার কারণেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। অর্থাৎ বিমানবন্দে অবতরণের সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তাতেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিমানবন্দরটিতে ৈতরিতে সমস্যা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
পুরোপুরি কাজ শেষ হওয়ার আগেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং হি বিমানবন্দর উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডকে। উদ্বোধনের পর এই প্রথম এমন দুর্ঘটনা ঘটল। কী কাঁচামাল দিেয় বিমানবন্দরটি তৈরি করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে বিশেষ টেকনিকাল টিম। বিমানের পাইলটের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিমানবন্দরের অবস্থান নিেয়ও। পোখরা বিমানবন্দরটি যেখানে তৈরি করা হয়েছে সেখানে যেকোনও বিমানের অবতরণ করা ঝুঁকি পূর্ণ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
২০১৪ সালে পোখরায় বিমানবন্দরটি তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে সেটি তৈরির কাজ শুরু হয়। এক প্রকার দেনা করেই এই বিমানবন্দরটি তৈরি করেছিলে চিন। পোখরার বিমানবন্দর তৈরির বরাদ দেওয়া হয়েছিল চিনের নির্মান সংস্থাকেই। তারপরেই এই দুর্ঘটনা জেরে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নির্মাণ সংস্থার দিকে।