চিন সীমান্ত পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ, ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে ভারত-নেপাল সীমান্ত বিতর্ক
চিন সীমান্তের সঙ্গে সংযোগকারী দারচুলা-টিঙ্কার সড়কপথ নির্মাণ করে স্বনির্ভরতার দিকে এক পা বাড়াল নেপালের সেনাবাহিনী। গতকাল দারচুলায় ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কপথের উদ্বোধন করেন ত্রিলোচন ভাট। মহাকালী করিডরে দারচুলা-টিঙ্কার সড়ক প্রকল্পের অধীনে এই রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
সেনাদের যাতায়ের ক্ষেত্রে এই সড়কপথ গুরুত্বপূর্ণ
তিনি বলেন, 'এর ফলে চিন সীমান্ত লাগোয়া চিঙ্গারু এবং টিঙ্কার গ্রামের বাসিন্দাদের সুবিধা হল।' তবে সেনাদের যাতায়ের ক্ষেত্রে এই সড়কপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানান তিনি। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য প্রায় ১.৮০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ভারতের রাস্তার উপর নির্ভরতা কমাতেই দ্রুততার সঙ্গে এই রাস্তাটি নির্মাণের উপর জোর দেয় নেপালের সেনাবাহিনী।
ভারত-নেপাল সম্পর্কে চিড়
এদিকে ভারত-নেপাল সম্পর্কে চিড় ধরায় বন্ধ রয়েছে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ব্যবসা। পিলিভিট, শ্রাবস্তী, বহরিয়াচ, বলরামপুর, সিদ্ধার্থনগর ও মহারাজগঞ্জ-সহ ছয় জেলা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের খেড়ি জেলায় নেপালের সাথে ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। লকডাউনের আগে লোকেরা অবাধে বাণিজ্য করত। তবে এখন দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কের কারণে ব্যবসায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র নিয়ে নেপালের দাবি
উল্লেখ্য, নেপাল কিছু ভারতীয় অঞ্চল নিয়ে নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র দাবি করার পরে ভারত ও নেপাল তীব্র বিরোধের মধ্যে পড়ে। নেপাল স্কুল পাঠ্যক্রমের নতুন পাঠ্যপুস্তকেও সংশোধিত রাজনৈতিক মানচিত্রে তিনটি কৌশলগত-গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় অঞ্চলকে দেখায়। এ ছাড়া নেপাল ভারতকেও তাঁদের দেশে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছিল।
ভারত-নেপাল সীমান্তে ভারী নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন
ইতিমধ্যে ভারত-নেপাল সীমান্তে ভারী নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ৪৯তম ব্যাটালিয়নের সীমা সুরক্ষা বল বাহিনী সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, সূত্রে খবর, কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সীমান্তে চোরাচালানের ঘটনা বেড়েছে।
রাফালের
প্রস্তুতি
তুঙ্গে,
পাকিস্তান-চিনকে
কড়া
বার্তা
দিতে
যুদ্ধবিমানের
মহড়া
হিন্দোনে