লাদাখে ২৯ থেকে ৩০ অগাস্টের রাতের অন্ধকারে কী ঘটেছে!লালফৌজকে কোন যুদ্ধনীতিতে ভারত জবাব দিয়েছে
লাদাখে ২৯ থেকে ৩০ অগাস্টের রাতের অন্ধকারে কী ঘটেছে!লালফৌজকে কোন যুদ্ধনীতিতে ভারত জবাব দিয়েছে
পূর্ব লাদাখে চিনের আগ্রাসনকে মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেই রাতে ৫০০ ট্রুপ নিয়ে লাদাখে হাজির হয়েছিল চিনের লালফৌজ। মুহূর্তে রাতের অন্ধকারে বিধ্বংসী হামলা চালানোর ছকে এগোতে যাচ্ছিল ড্রাগন বাহিনী। এরপর কী ঘটেছেস দেখে নেওয়া যাক।
এসইইউভিতে চিনের সেনা!
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ২৯ অগাস্ট রাত ১১ টা নাগাদ এসইউভিতে চড়ে প্যানগংয়ের দিকে আসতে থাকে চিনের সেনা। একের পর এক এসইউভি এলাকায় ঢুকছে দেখেই সতর্কতা অবলম্বন করে ভারতীয় সেনা।
ভারতের গোয়েন্দারা খোঁজ পাঠায় সেনাকে!
চিনের সেনা যে ভারতে আবার হামলার ছক কষছে তার খোঁজ পেয়ে গিয়েছিল ভারতের গোয়েন্দা দফতরয। ভারতের ইন্টেলিজেন্স সূত্রে সেই খবর যায় লাদাখের বুকে কর্তব্যরত সেনার কাছে। মুহূর্তে রাতের অন্ধকারে পজিশন নিয়ে ফেলে ভারতীয় সেনা।
ধুন্ধুমার লড়াই!
এরপরই এসইউভি থেকে চিনের সেনা চুপিসারে নামতেই, ভারতের সেনা জওয়ান রা মোক্ষম জবাব দিতে শুরু করে। শুরু হয়ে যায় দুপক্ষের সংঘর্ষ। কয়েক মিনিট এই সংঘর্ষ স্থায়ী হয় বলে খবর। এরপরই পাততাড়ি গুটিয়ে ড্রাগন বাহিনী ফিরে গিয়েছে বলে খবর।
কেন প্যানগংকে নিশানা করেছে চিন!
গালওয়ান পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যস্থতায় শান্তিপূর্ণ হলেও, প্যানগং, গোগরা, ডেপসাং নিয়ে দুই সেনা শিবিরের মধ্যে মত পার্থক্য রয়ে গিয়েছে। ফলে এলাকাগুলি এখনও সেভাবে শান্তি ফিরে পায়নি। আর প্যানংগ লেক সংলগ্ন এলাকা এমনই একটি বিতর্কিত অঞ্চল। এর আগে গালওয়ান ঘিরে সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন জওয়ান শহিদ হন। যদিও চিনের তরফে ৪০ এর বেশি সেনা মারা গিয়েছিল,তবুও তা স্বীকার করতে চায়নি চিন। এমনকি ২৯ ও ৩০ অগাস্টের ঘটনাও মানতে চাইছে না চিন।
লাদাখে শান্তি বজায়ে বদ্ধ পরিকর ভারতীয় সেনা, চৈনিক আগ্রাসন নিয়ে আশ্বস্ত করল মোদী সরকার