কমলা হ্যারিসের হাতিয়ার জর্জ ফ্লয়েড! 'বর্ণবিদ্ধেষ-কার্ডে' বিদ্ধ ট্রাম্প
প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান, দক্ষিণ এশিয়ার মহিলা হিসাবে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে লড়াইয়ের জন্য মনোনীত হলেন কমলা হ্যারিস। আর এরপরই নিজের নাড়ির সূত্র তুলে ধরে ফের একবার নিজের ভারতীয় সত্ত্বাকে প্রকাশ করলেন। তিনি জানান, মায়ের ভারতীয় মূল্যবোধ, লড়াই, সাহসিকতা ও মানবিকতাকে পাথেয় করেই বৈষম্যহীন আমেরিকান সমাজ গড়ার লক্ষ্যে পা বাড়িয়েছেন কমলা।
বর্ণবিদ্বেষের কোনও ওষুধ নেই
এদিন মনোনীত হয়েই বর্ণ বিদ্বেষ নিয়ে ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বলেন, 'করোনার যেমন কোনও টীকা বেরোয়নি তেমনই বর্ণবিদ্বেষের কোনও ওষুধ নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের ব্যর্থতার মূল্য জনসাধারণকে জীবন ও জীবিকার বিনিময়ে দিতে হচ্ছে।'
প্রথম কোনও এশিয়ান আমেরিকান উপরাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে
এই প্রথম কোনও এশিয়ান আমেরিকান আমেরিকায় উপরাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে সামিল হচ্ছেন। কোনও শ্বেতাঙ্গকে না বেছে কমলা হ্যারিসকে এই পদে বেছে নিয়ে প্রবল বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন জো বাইডেন। প্রসঙ্গত, কমলা হ্যারিসের নাড়ির সূত্র গাঁথা এই ভারত এবং জামাইকা। এবং গত কয়েক মাসের ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনে উত্তাল আমেরিকায় কমলা ভোট টানতে পারবেন।
লিঙ্গ বৈষম্যের প্রসঙ্গ উঠে আসে
এদিকে শুধু জাতি বিদ্বেষের প্রসঙ্গ নয়, কমলা তুলে ধরেন লিঙ্গ বৈষম্যের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, 'নারীরা ১০০ বছর আগে ভোট দেওয়ার অধিকার অর্জন করেছিল। তবে, আফ্রিকান-আমেরিকান মহিলারা ভোটাধিকারের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। এই বিশেষ দিনটি তিনি সেই লড়াইকে উত্সর্গ করেন।'
হ্যারিসের পক্ষে সওয়াল ওবামার
এদিকে হ্যারিসের ভাষণের আগে আমেরিকার প্রাক্তন বারাক ওবামা ট্রাম্পের সরকার পরিচালনার সম্পর্কে তীব্র নিন্দা জানান। ওবামা বলেন, '২০১৭ সালে ট্রাম্পের কাছে হোয়াইট হাউস হস্তান্তর করার সময়ে ভেবেছিলাম রিপাবলিকানরা কাজটিকে গুরুত্ব সহকারে নেবেন। তবে ট্রাম্প কখনও এই দায়িত্বের গুরুত্ব দেননি।'