জাপানে পিপিই-র বদলে রেনকোট ব্যবহার! করোনায় স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
জাপানে পিপিই-র বদলে রেনকোট ব্যবহার! করোনায় স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
জাপানে পিপিই-র বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে রেনকোট। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যখন নিজেদের জীবন বিপন্ন করে হাসপাতালের কর্মীরা কাজ করচেন, সেখানে তাঁদের ন্যূনতম সুরক্ষা দিতে পিপিই-র বালাই নেই। রেনকোট ব্যক্তিগত সুরক্ষার কাজে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই মর্মে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আবেদন করা হয়েছে।
পিপিই নেই। নেই রোনকের্টের জোগানও। প্রতিরক্ষামূলক পোশাকের ঘাটতি এতটাই মারাত্মক হয়েছে যে, কিছু স্বাস্থ্যকর্মী তাদের পরিত্যাগ করা রেনকোটকেই আঁকড়ে ধরছে সুরক্ষার জন্য। আবেদন জানিয়েছেন, দয়া করে আপনাদের অব্যবহৃত রেনকোট প্রেরণ করুন।
ওসাকার মেয়র ইছিরো মাতসুই মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এ কথা। এই অঞ্চলে ৮৩০টিরও বেশি সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছে। টোকিতে আক্রান্ত ২১১৭। তার পরে দেশের মধ্যে ওসাকার করোনা সংক্রমণ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মাতসুই বলেছিলেন, "কিছু হাসপাতালের কর্মী নিজেদের সুরক্ষার বিকল্প হিসাবে রেনকোট পরছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উচ্চ জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগা রোগীদের গ্রহণ করতে পারে এমন হাসপাতালের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এই রোগীদের সতর্ক করে দেওয়ার পরিবর্তে জরুরি ক্লিনিকগুলিতে প্রেরণ করা হয়েছে, যেখানে অন্যান্য গুরুতর রোগী রয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা আশঙ্কা করি যে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা একাধিক আঘাতের শিকার রোগীরা চিকিৎসা করাতে এসে ভুগতে পারেন। জানুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পরে। তার পর থেকে জাপানে অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এখন পর্ন্ত ৮১০০ সংক্রমণ এবং ১১৯ জন মারা গেছেন জাপানে।