জর্জরিত ইতালি আনতে চলেছে করোনা রোধী প্রথম ভ্যাকসিন! আশার আলো গোটা বিশ্বে
মারণ সংক্রমণ করোনায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতি থেকে ততদিন নিস্তার পাওয়া যাবে না, যতদিন না এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। আর এর ফলে একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই সেই কাজে লেগে পরেছে। এদেরর মধ্যে অন্যতম হল ইতালি। এবার সেই দেশেই দাবি করা হল করোনা রোধী ভ্যাকসিন তৈরি করতে তারা সক্ষম হয়েছে।
করোনা প্রকোপ বেড়ে চলেছে লাগামহীন ভাবে
বিশ্বজুড়ে করোনা প্রকোপ বেড়ে চলেছে লাগামহীন ভাবে। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পিছনে সব থেকে বড় কারণ এই সংক্রমণের কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধক না থাকা। আর সেই কাজেই দিনরাত কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের শরীরে সফলভাবে কোনও টিকা পরীক্ষার পর এর ফলাফল পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। তবে ইতালির দাবি সেই সময়ের অনেক আগেই তারা সাফল্য পেয়েছে।
ভ্যাকসিন নিয়ে ইতালীয় গবেষকদের দাবি
মঙ্গলবার সায়েন্স টাইমস ম্যাগাজিনে ইতালীয় গবেষকদের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, রোমের স্পালানজানি হাসপাতালে সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা এ ভ্যাকসিন পরীক্ষা করেছেন। ইতালীয় গবেষকরা বলছেন, ইঁদুরের দেহে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি করার পর তা মানবকোষেও কাজ করেছে। ইঁদুরের শরীরে তৈরি ওই অ্যান্টিবডি মানবকোষে করোনা ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে।
মানব শরীরে পরীক্ষা করার ছাড়পত্রের অপেক্ষায়
এরপরই ইতালীয় ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার প্রধান লুইগি আরিসিচিও বলেন, 'ইতালির বিজ্ঞানীদের তৈরি ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে যে কার্যকর হবে, তার সংকেত মিলেছে স্পালানজানি হাসপাতালেই। তিনি মনে করেন, এটিই বিশ্বের প্রথম ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন। আমরা মনে করছি, ভ্যাকসিনটি এ গ্রীষ্মেই মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।'
করোনা থাবায় জর্জরিত ইতালি
এদিকে ইতালিতে ভয়াবহ অবস্থা। একদিকে করোনায় মৃত্যুমিছিল, অন্যদিকে অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতি। উপায়ন্তর না পেয়ে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইতালি। আর লকডাউন শিথিলের দ্বিতীয় দিনে ইতালিতে করোনায় মৃত্যু হল ২৩৬ জনের। এই নিয়ে ইতালিতে মোট ২৯ হাজার ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
লকডাউন উঠতে কী অবস্থায় ইতালি?
লকডাউন শিথিল হতেই ইতালিতে কাজে বের হন প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ। প্রায় দুমাস পর কাজের মধ্যে ফিরেছে ইতালি। পরিসংখ্যান বলছে ইতালিতে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। লকডাউন শিথিলের দ্বিতীয় দিনে নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ৭৫ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২ হাজার ৩৫২ জন।