উহানে থাকা এক ভারতীয়র বেঁচে ফেরার গল্প ও তাঁর পরামর্শ ! কেমন পরিস্থিতি চিনে
করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে তপ্ত পরিস্থিতি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে ২৫ মিলিয়ন মানুষ এই পরিস্থিতিতে কর্মহীন হতে পারেন। স্বাস্থ্য থেকে অর্থনীতি সমস্ত দিকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভাইরাসের দাপটে। এদিকে, যে দেশ থেকে এই ভাইরাস এসেছে সেই দেশ চিন। সেখানের উহান থেকে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। কেমন আছেন উহানে আটকে পড়া ভারতীয়রা?
লকডাউন খোলার পর প্রতিক্রিয়া
চিনের উহানে টানা ৭৩ দিন পর খুলল লকডাউন। করোনা যেখানে থেকে দানা বেঁধেছে , সেই উহান যেন ছিল মৃত্যুপুরী। আর লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সেখানে বসাসকারী ভারতীয় অরুণজিত পিটিআইকে জানিয়েছেন, হঠাৎ করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে কথা বলতে অস্বস্তি হচ্ছে। এতদিন একটি ঘরে বন্দি থেকে কথা বলার ক্ষেত্রে তাঁর সমস্যা হতে শুরু করেছে। তবে অরুণজিতদের মতো বহু ভারতীয়ের দাবি, একমাত্র সোশ্যাল ডিসটেন্সিং ই করোনা থেকে বাঁচাতে পারে। যার জন্য তাই কঠোরভাবে লকডাউন পালন করা।
কেন ফেরেননি অরুণজিৎ?
চিন থেকে ৭০০ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ভারতে। সেই সময় অরুণজিৎ ফেরেননি। তিনি উহানে থেকে গিয়েছিলেন এই ভেবে যে, যদি তিনি করোনা বয়ে আনেন অজান্তে, তাহলে তাঁর বাবা মা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তাই ১১ মিলিয়ন উহানবাসীর সঙ্গে চিনে থেকেই করোনা লড়াইয়ে সামিল হন এই ভারতীয়।
আরও এক ভারতীয় কী বলছেন?
অরুণজিৎ একা নন, আরও এক ভারতীয় বিজ্ঞানীও থেকে গিয়েছিলেন উহানে। তাঁরও দাবি , ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে,তার জন্য তিনি দেশে ফেরেননি অরুণ জিৎ পেশায় গবেষক। আর এই লকডাউনে মধ্যে তাঁরা ভাইরাস নিয়ে গবেষণার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। যা তাঁদের সাহায্য করেছে বলে দাবি অরুণজিতদের।
চিন প্রসঙ্গে অরুণজিৎ কী বলছেন?
উহানের বাসিন্দা ভারতীয়দের দাবি, চিন খুবই ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নিয়েছে করোনার লড়াইতে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই দেরি হয়েছে। কারণ শত্রু অজানা ছিল।আর অরুণজিতের দাবি, সেই কারণেই লড়াইতে ধীর গতিতে এগিয়েছে চিন। যদি টানা ৭৩ দিন পর উহান লকডাউন থেকে বের হতেই অনেকেই আতঙ্কের প্রহর কাটিয়ে উছতে পারছেন না। তবে এই ভারতীয়রা খুশি যে তাঁরা এমন বিপদ কাটিয়ে উঠেছেন।