কালাপানি থেকে অবিলম্বে ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করতে বললেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী
কালাপানি থেকে ভআরতীয় সেনা প্রত্যাহার করতে বললেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি। রবিবার এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নেপাল, তিব্বত ও ভারতের মধ্যকার এই কালাপানি এলাকাটি নেপালের।
কালাপানি থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করতে বললেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি। রবিবার এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নেপাল, তিব্বত ও ভারতের মধ্যেকার এই কালাপানি এলাকাটি নেপালের। ভারতের অবিলম্বে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা উচিত।"
'ভারতের উচিত কালাপানি ছেড়ে দেওয়া'
রবিবার নেপালের ক্ষমতাশীন কমিউনিস্ট দলের যুব শাখা নেপাল যুব সঙ্গমের আয়োজিত এক সম্মেলনে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা আমাদের দেশের এক ইঞ্চি জমিও অন্য কোনও দেশকে দখল করতে দেব না। ভরতের এই মুহূর্তে সেই জমিটি ছেড়ে দেওয়া উচিৎ।" তবে কালাপানিকে নিজেদের দেশের অন্তর্ভুক্ত করে ম্যাপ প্রকাশের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননে।
কালাপানি নিয়ে বহু বছরের বিবাদ
কালি নদীজুড়ে ভারতের সাথে নেপালের পশ্চিম সীমান্ত প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৬ সালের চুক্তির ভিত্তিতে। তবে নদীটির উৎস কোথায় তা নিয়ে দুই দেশের মতবিরোধ থেকে সীমান্ত বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
নতুন বিতর্কের সূত্রপাত
৩১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে পুনর্গঠনের মাধ্যমে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। এরপরেই সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয় ভারতের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র। কিন্তু ভারত নতুন যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে আপত্তি জানিয়েছে নেপাল। ওই মানচিত্রে বিরোধপূর্ণ কালাপানি এলাকাকে দিল্লি ভারতের সীমানার ভেতরে দেখানোয় ওঠে আপত্তি।
ম্যাপ নিয়ে আপত্তি রয়েছে পাকিস্তান ও চিনেরও
ভারতের এই মানচিত্র নিয়ে এর আগে পাকিস্তানও প্রবল আপত্তি জানায়। পাকিস্তান কাশ্মির নিজেদের বলে দাবি করে। আবার লাদাখ নিয়েও চিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে ভারতের। তাই মানচিত্র প্রকাশ হতেই চিনও আপত্তি জানায় এই মানচিত্রে। তারা বলে, ম্যাপে দেখানো লাদাখের অন্তর্গত এলাকা তাদের দেশের।
চিন, পাকিস্তানের পর আপত্তি ওঠে নেপালের তরফেও
এদিকে চিন, পাকিস্তানের পাশাপাশি নেপালও আপত্তি জানায় ভারতের প্রকাশিত এই মানচিত্রের। মানচিত্রটিতে কালাপানিকে ভারত সীমান্তের ভেতরে নেয়া হয়েছে। কাঠমান্ডুর দাবি, এই এলাকাটি নেপালের। এই এলাকাটি নিয়ে নেপাল ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছে। প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে ওই এলাকায় ভারতীয় সৈন্য মোতায়েনের পর থেকেই আপত্তি করে আসছে নেপাল।