লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবের কড়া জবাব দিল চিন! কী বলল বেজিং?
ভারত-চিন সম্পর্কে ট্রাম্পের নাক গলানোর ইচ্ছার কড়া জবাব দিল চিন। পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তাই এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিল বেজিং।
ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করে চিন
জানা গিয়েছে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করে চিন এদিন জানায়, ভারত এবং চিন নিজেদের সমস্যা কথা বলে মিটিয়ে নিতে সমর্থ। এতে কোনও ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হস্তক্ষেপ করতে হবে না। দিল্লি ও বেজিং নিজেরাই কথা বলে বিষয়টিকে মিটিয়ে নেবে।
কী বলেছিলেন ট্রাম্প?
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প বলেন, 'ভারত ও চিনের মধ্যে বিরাট দ্বন্দ্ব চলছে। দুই দেশেই ১.৪ বিলিয়ন করে মানুষ বসবাস করেন। দুই দেশেরই সেনা শক্তিশালী। এই দ্বন্দ্ব নিয়ে ভারত এখন খুশি নয়। আর চিনও সম্ভবত অখুশি।' এরপরেই তিনি বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি। চিনের সঙ্গে তাদের যে দ্বন্দ্ব চলছে তা নিয়ে তিনি খুশি নন।'
চিনের তরফে বলা হয় ভারতে সীমান্তের সঙ্গে পরিস্থিতি স্থিতিশীল
এর আগে বুধবার চিনের তরফে বলা হয় ভারতে সীমান্তের সঙ্গে পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এদিকে বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, 'সীমান্ত ইশুতে বেজিং ও দিল্লি তৎপর। আমাদের সেনাবাহিনীর অত্যন্ত দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। সমস্ত নিয়ম, প্রোটোকল ও উভয় দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে। তবে একইসঙ্গে আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করব।'
ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়নি মোদীর
এদিকে ভারতও এর আগে চিন সীমান্ত নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর কথা বলার বিষয়টি অস্বীকার করে। ভারতরে তরফে বলা হয়, শেষবার ৪ এপ্রিল মোদী ও ট্রাম্পের ফোনে কথা হয়েছে। সেই সময় করোনার আবহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারত থেকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন পৌঁছে দেওয়া নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হয়। এরপর দুই নেতার কোনও কথা হয়নি।
ভারতরে পাশেই আমেরিকা
প্রসঙ্গত, এর আগে পাকিস্তানের সঙ্গেও ভারতের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ও দিল্লির তরফে এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করা হয়েছিল। অবশ্য ভারত-চিন উত্তেজনায় আমেরিকাকে পাশে পেয়েছিল দিল্লি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেজিংয়ের তৈরি করা উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে বিকরক্তিকর বলে আখ্যা দিয়েছিল। চিনের এই উস্কানিমূলক ও বিরক্তিকর আচরণ প্রশ্ন তুলেছে যে কীভাবে বেজিং তার ক্রমবর্ধমান শক্তিগুলি ব্যবহার করতে চায়।
চুপ কেন সরকার? লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাত প্রসঙ্গে এবার কেন্দ্রকে তোপ রাহুল গান্ধীর!