চিনা অ্যাপে রক্ষা নেই! ভারতে ব্যবসারত একাধিক চিনা সংস্থার সহায়তায় গোপনে নজরদারি লালফৌজের
চিনের
সঙ্গে
সংঘাতের
আবহে
ইতিমধ্যেই
দেশে
টিকটক
সহ
৫৯টি
চাইনিজ
অ্যাপকে
নিষিদ্ধ
করেছে
ভারত
সরকার।
দেশের
নিরাপত্তা
ও
সার্বভৌমত্ব
রক্ষার
স্বার্থেই
এই
কড়া
পদক্ষেপ
নেওয়া
হয়
বলে
ভারত
সরকারের
তরফে
জানানো
হয়।
এই
পদক্ষেপের
এক
মাসেরও
কম
সময়ে
চিনের
পিপলস
লিবারেশন
আর্মির
(পিএলএ)
সঙ্গে
যুক্ত
আরও
বেশ
কিছু
চিনা
সংস্থার
খোঁজা
পাওয়া
গেছে
বলে
জানা
যাচ্ছে।
এই সংস্থা গুলি এতদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে একাধিক চিনে তথ্যপাচটার করছিল বলে সরকারি সূত্রে খবর। যার জেরে শক্ত হচ্ছিল চিনা গোয়েন্দাদের হাত। এদিকে ২০১৭ সালের জুনে, চিনের আইনসভা একটি নতুন গোয়েন্দা আইন পাস করে বলে জানা যায়। যাতে সন্দেহভাজনদের উপর সমস্ত রকম নজরদারি, অভিযান, যানবাহন এবং তার বৈদ্যুতিন জিনিসপত্রের উপর গোপনে নজরদারির ক্ষমতা দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিরক্ষা সচিবের বার্ষিক প্রতিবেদনেও এই বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। "গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের ২০১৯-এর সামরিক ও সুরক্ষা বিকাশ" শীর্ষক প্রতিবেদনে এই বিষয়টি রেকর্ডও করা রয়েছে বলে খবর। হুয়াওয়ে, জেডটিই, টিকটক সহ একাধিক চিনা সংস্থা এই আইনের আওতার মধ্যেই পড়ছে বলে জানা যায়। তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে চিনের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে, সহায়তা প্রদান এবং সহযোগিতা করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই সংস্থা গুলির উপর।
এদিকে সম্প্রতিককালে ভারত ও চিনের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম যৌথ উদ্যোগ হিসাবে পরিচিত হয় শিন্ডিয়া স্টিলস প্রজেক্ট। কর্ণাটকের কোপ্পাল জেলায় এই প্রজেক্টের পিছনে খরচ হচ্ছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। এর প্রধান বিনিয়োগকারী চিনের জিনসিং ক্যাথে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ। এদের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগসূত্র রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে চিনের এই বাণিজ্যিক গোষ্ঠীটি ইতিমধ্যেই ছত্তিশগড়ে এক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করো বলে জানা যাচ্ছে। একাধিক স্টিল প্ল্যান্ট তেকে জিনসিং ইতিমধ্যে ভারতে প্রায় ৩০ হাজার টন লোহার পাইপ সরবরাহ করেছে বলেও খবর। এদিকে সরকারের নজরে রয়েছে চায়না ইলেকট্রনিক্স টোকনোলজি গ্রুপ কর্পোরেশন। যাদের সঙ্গেও পিএলএ-র যোগ সূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে। তালিকায় রয়েছে বিখ্যাত স্মার্টফোন সংস্থা হুয়াওয়ে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এই সংস্থা ভারতে ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে বলেও খবর।