বিশ্বব্যাপী আর্থিক পরিস্থিতির জেরে মন্দার ঝুঁকি আরও বাড়ছে! সতর্কবার্তা আইএমএফ-এর
বিশ্বব্যাপী আর্থিক পরিস্থিতির জেরে মন্দার ঝুঁকি আরও বাড়ছে! সতর্কবার্তা আইএমএফ-এর
ভারতে টাকার দাম কমছে। সম্ভাব্য বৃদ্ধির হারও কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে এই পরিস্থিতি শুধু ভারতে নয়, সারা পৃথিবী জুড়ে। তবে পরিস্থিতি ভাল হওয়ার বদলে আরও খারাপের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমনটাই মন্তব্য করেছেন আইএমএফ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্মিয়েভা। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে দর্শকদের উদ্দেশে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। এর পিছনে যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ রয়েছে, সেকথাও উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হানাদারিতে আইএমএফ-এর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী সম্ভাব্য বৃদ্ধি কমেছে
আইএমএফ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্মিয়েভা বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতিতে ইতিমধ্যেই যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আইএমএফও ২০২৩ সালের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে তাদের অনুমান পরিবর্তন করেছে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের তরফে বিশ্বব্যাপী সম্ভাব্য আর্থিক বৃদ্ধিকে কম করে দেখানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধি ৪ ট্রিলিয়ন ডলার কম হওয়ারও অনুমান করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের তরফে। আইএমএফ-এর তরফে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ ২০২২-এর জন্য এই মুহুর্তে ৩.২% এবং ২০২৩-এর জন্য ২.৯% অনুমান করা হচ্ছে।
মন্দার ঝুঁকি বাড়ছে
ক্রিস্টালিনা
জর্মিয়েভা
বলেছেন,
মন্দার
ঝুঁকি
বাড়ছে।
তিনি
বলেছেন
আইএমএফ-এর
অনুমান,
বিশ্বের
একতৃতীয়াংশ
দেশের
অর্থনীতিতে
এইবছর
কিংবা
পরের
বছরে
পরপর
দুটি
ত্রৈমাসিকে
সংকোচন
দেখা
দিতে
পারে।
আন্তর্জাতিক
অর্থ
ভান্ডারের
ভবিষ্যদ্বাণী
আরও
দৃঢ়
হয়েছে,
যখন
তেল
উৎপাদনকারী
দেশগুলি
তাদের
তেলের
উৎপাদন
কমানোর
কথা
জানানো
পরে।
এই
ঘোষণা
কার্যত
যুদ্ধ
করে
চলা
বিশ্বের
অর্থনীতিকে
আরও
এক
ধাক্কা
দিতে
চলেছে
বলেই
মনে
করছেন
আর্থিক
বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বজুড়েই অনিশ্চয়তা
বিশ্বব্যাপী মহামারীতে কিছুটা লাগাম পরানো গেলেও যুদ্ধ চলছে। এই দুই মিলিয়েই বিশ্ব জুড়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যার জেরে অর্থনৈতিক ধাক্কার পরিস্থিতি। আইএমএফ বলছে, করোনা মহামারী বিশ্ব জুড়ে অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পরে গত বছরের অক্টোবরে আইএমএফ বিশ্বব্যাপী আর্থিক পুনরুদ্ধারের আশা করেছিল। ২০২১-এ বিশ্বব্যাপী আর্থিক বৃদ্ধি ৬.১-এ পৌঁছনোর পরে অর্থনীতিবিদরা আশা করেছিলেন এই হার অপরিবর্তিত থাকবে। কিন্তু তা হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ধাক্কা পরিস্থিতির পরিবর্তন করেছে। মুদ্রাস্ফীতি ক্ষণস্থায়ী হওয়ার পরিবর্তে স্থায়ী হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে সমস্যা
এই
মুহূর্তে
চিন
এখনও
মহামারী
সম্পর্কিত
প্রতিবন্ধকতা
কাটিয়ে
উঠতে
পারেনি।
অন্যদিকে
রাশিয়া
ইউরোপের
দেশগুলিতে
কম
গ্যাস
সরবরাহ
করায়
সেখানকার
অর্থনীতিও
ক্ষতিগ্রস্ত।
অন্যদিকে
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রেও
অর্থনীতির
গতি
মন্থর।
মুদ্রাস্ফীতির
চাপে
সেখানে
ভোক্তাদের
চাহিদা
কমেছে।
আইএমএফ-এর
ম্যানেজিং
ডিরেক্টর
বলেছেন,
এই
পরিস্থিতিতে
দেশগুলি
যথেষ্ট
কড়া
না
হলে
মুদ্রাস্ফীতিকে
নিয়ন্ত্রণে
আনা
কঠিন
হবে,
যার
দেরে
অনেক
দেশের
অর্থনীতিই
দীর্ঘমেয়াদি
মন্দার
দিকে
চলে
যাবে।