করোনা মোকাবিলায় কী করা উচিত, কোন কোন পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি, পরামর্শ দিলেন বিল গেটস
করোনা মোকাবিলায় কী করা উচিত, কোন কোন পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি, পরামর্শ দিলেন বিল গেটস
করোনা ভাইরাসের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে তা নাকি আগেই বলেছিলেন বিল গেটস। এবার গোটা বিশ্ব যখন এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে সেখানে এর থেকে বেরিয়ে আসার উপায়ও জানালেন তিনি। বিল গেটস জানিয়েছেন পরীক্ষা আর কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনই এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ।
পরীক্ষা আর কোয়ারেন্টাইন একমাত্র পথ
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় পরীক্ষা এবং কোয়ারেন্টাইন একমাত্র পথ বলে জানিয়েছেন বিল গেটস। তিনি বলেছেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে হলে এবং লকডাউন যাকে দীর্ঘায়িত না হয় তার জন্য প্রতিনিয়ত পরীক্ষার প্রয়োজন। এমনকী প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে পরীক্ষার কিট পৌঁছে দেওয়া জরুির। যাতে বাড়িতেই তাঁরা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে পারেন এবং বাড়ি থেকেই ল্যাবরেটরির লোকেরা সেই নমুনা নিয়ে িগয়ে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিতে পারেন। এমনকী কেউ যদি কোনও জরুরি কাজে বাইরেও যান তাহলে বাড়িতে ফিরেই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। রিপোর্ট পজেটিভ হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি। এভাবে প্রতিনিয়ত পরীক্ষার মধ্যদিয়ে গেলেই সংক্রমণের গতি রুদ্ধ হবে বলে মনে করেন বিল গেটস।
শাট ডাউন ছাড়া গতি নেই
গোটা বিশ্বে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে শাট ডাউন দীর্ঘায়িত করা ছাড়া উপায় নেই। আমেরিকার আরও ৬ থেকে ১০ সপ্তাহের কড়া শাটডাউন জরুরি বলে মনে করেন বিল গেটস। এতে বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করতে হবে আমেরিকাকেও। কিন্তু শাট ডাউন করা ছাড়া উপায় নেই। কারণ আগে সতর্ক হওয়ার সময় পেরিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। আর আর্থিক ক্ষতি দ্রুত পুনরুদ্ধারের মত ক্ষমতাও এখন আমেরিকার নেই।
আবহাওয়ার পরিবর্তনে সংক্রমণ কমার সম্ভাবনা
বিল েগটস মনে করেন সব ভাইরাসই একটি আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। সেকারণে আবহাওার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের আয়ু শেষ হয়ে আসতে পারে এমনই জানিয়েছেন তিনি। সেদিক থেকে তাপমাত্রা বাড়তে করোনাভাইরাসের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমতে পারে।
গোষ্ঠী সংক্রমণ রোখাই একমাত্র পথ
বিল গেটস জানিয়েছেন পরিসংখ্যান বলছে করোনা ভাইরাস এক থেকে ১০ হাজার সংক্রমণ ঘটাতে পারে। কিন্তু দেখা গিয়েছে সংক্রমণে একের নিচে হলে সেটা আর বাঁচার জায়গা পায়না। কাজেই আইসোলেশনের মাধ্যমে আগে করোনা ভাইরাস নির্মুল করা জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি। তবেই সংক্রমণ রোধ করা যাবে। ঠিক যে পদ্ধতিতে চিন সংক্রমণ রুখতে উদ্যোগী হয়েছে। সেভাবেই এগোতে হবে বিশ্বকে।