সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে আদেশ জারি করে আদতে চিনকে বিদ্ধ করতে চাইছেন ট্রাম্প!
ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জন্য একটি নির্বাহী আদেশ সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, আমেরিকার নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দু'টি টুইট করেছিলেন সম্প্রতি। সেই টুইটগুলিতে ফ্যাক্ট চেক নোটিফিকেশন পাঠায় টুইটার। এরপরই গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প।
আইনগত কিছু সুরক্ষা হারাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো
ট্রাম্পের এই নির্দেশের কারণে আইনগত কিছু সুরক্ষা হারাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এছাড়া ওই নির্বাহী আদেশে ফেসবুক- টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে।
ফ্যাক্ট চেক নোটিফিকেশন পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প
টুইটারের তরফে ফ্যাক্ট চেক নোটিফিকেশন পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প। অথচ তিনি প্রথম এই সোশ্যাল মিডিয়া ক্ষেত্রটির বিরুদ্ধে ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তোলেন। পরে ফের অভিযোগ তুলে বলেন, 'এই সোশ্যাল মিডিয়া ক্ষেত্রটি বাক স্বাধীনতায় বাধা দিচ্ছে।' এই বিষয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, 'প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি তা কোনওমতেই হতে দেব না।'
চিনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের তোপ
তিনি আরও বলেন, 'একটি মার্কিন কোম্পানি চিনের সরকারের জন্য সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে যাতে মানবাধিকার শব্দটি সার্চ করার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চিনা কমিউনিস্টদের তথ্য বিকৃত করতে সাহায্য করছে এই সংস্থাগুলি। তারা চিনের সঙ্গে রিসার্চ পার্টনারশিপ গড়ে তুলছে।'
সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের হুশিয়ারি দেন ট্রাম্প
এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের হুশিয়ারি দেন ট্রাম্প। বুধবার সকালে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থীরা সেন্সরশিপের শিকার হচ্ছে। ট্রাম্প বলেন, রিপাবলিকানরা মনে করছে যে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো রক্ষণশীল মতামত রুদ্ধ করতে চাইছে। এমনটা ঘটার আগে আমরা তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো বা বন্ধ করে দেবো। হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার ওই নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প।
করোনার জেরে তলানিতে অর্থনীতি, ১১ বছরে সর্বনিম্ন জিডিপি বৃদ্ধির হার!