ট্রাম্পকে কি ইমপিচ করা হবে! স্পিকারের নির্দেশে শুরু তদন্ত, জেনে নিন পুরো ঘটনা
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ বা অভিশংসন করার দাবি ক্রমশ জোরাল হয়ে উঠছে।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ বা অভিশংসন করার দাবি ক্রমশ জোরাল হয়ে উঠছে। তার পরিপ্রেক্ষিত হল - ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির কথোপকথন। সেই কথোপকথনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন সম্পর্কে কথা বলছেন। যাকে ঘিরে গোলমালের সূত্রপাত। এবং ট্রাম্পকে ইমপিচ করার দাবি তুলেছেন বিরোধীরা।
চাপে রিপাবলিকানরা
এক্ষেত্রে চাপ বাড়ানো হয় মার্কিন সংসদের অধ্যক্ষ ন্যান্সি পেলোসির ওপর। কারণ কথোপকথনে প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি বিডেন ও তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে তদন্তে নিয়ে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতিকে চাপ দেন ট্রাম্প, অভিযোগ এমনটাই। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাপে পড়েছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকানরাও চাপে রয়েছেন। এমনকী রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প কথোপকথনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। যা শুনেই ডেমোক্র্যাটরা জোরাল আক্রমণ করে ইমপিচমেন্টের দাবি তুলেছে।
শুরু হয়েছে তদন্ত
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ফোনালাপ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তিনটি আলাদা কমিটি। তাতে বেশি রয়েছেন ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। যার ফলে মনে করা হচ্ছে, চাপে পড়ে ট্রাম্পকে ইমপিচ করাও হতে পারে।
ঠিক কী হয়েছিল
ঘটনা হল, গত ২৫ জুলাই ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে কথোপকথন হয়। শুভেচ্ছা বিনিময়মূলক ফোনকলের পরই ট্রাম্প কথা বলে বিডেনকে নিয়ে। কারণ ট্রাম্পের দাবি বিডেন ইউক্রেনে তাঁর স্বার্থরক্ষায় কাজ করেছিলেন। যদিও নিজের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ কিছু পেশ করেননি ট্রাম্প।
এখন ঘটনা হল, বিরোধীদের অভিযোগ ট্রাম্প বিদেশি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মুখ্য বিরোধী দলের নেতৃত্বকে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা করছেন। এবং জোর করে ইউক্রেনকে দিয়ে তদন্ত করাতে চাইছেন। অন্যথায় ইউক্রেনে সামরিক সাহায্য বন্ধ করার হুমকিও নাকি ট্রাম্প দিয়েছেন।
বিডেনকে বেকায়দায় ফেলার অভিযোগ
আগামী ২০২০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রধান মুখ হিসাবে দাঁড়াতে চলেছেন জো বিডেন। তাঁকেই বেকায়দায় ফেলতে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন ট্রাম্প। অধ্যক্ষ পেলোসিও জবাবদিহি চেয়েছেন ট্রাম্পের। ফলে চাপ বেড়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপতির। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই তিনি বাক্যালাপ করেছেন।
কী হতে পারে শেষ অবধি
পেলোসির ঘোষণার পর এখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। সেই কমিটি যাচাই করে মত দেবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইমপিচমেন্ট প্রয়োজন কিনা। সংসদে তা পাশ করাতে হবে। যা সহজেই হবে। কারণ ডেমোক্র্যাটদের আধিক্য বেশি। তারপর তা যাবে সেনেটে। যেখানে আবার রিপাবলিকানদের রমরমা। ফলে এখ দেখার কীভাবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট আনতে সক্ষম হয় ডেমোক্র্যাটরা।
[ এনআরসি আতঙ্কে আত্মঘাতী জলপাইগুড়ির যুবক]
[সমুদ্রের গ্রাসে খুব শিঘ্রই চলে যেতে পারে কলকাতা! বিশ্ব উষ্ণায়নে বাড়তে পারে শহরের জলসংকট]