ট্রাম্পকে ১২ বার করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছিল সিআইএ, তবে পাত্তা দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট!
ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবর দাবি করে এসেছিলেন বাদুড় থেকে ছড়ায়নি নভেল করোনা ভাইরাস। প্রথম থেকেই করোনা ভাইরাস নিয়ে চিনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনও পরোক্ষ আবার কখনও সরাসরি চিনকে দোষারোপ করেছেন এই সংক্রমক ব্যাধি ছড়ানোয়। ইউরোপের দেশগুলোও ট্রাম্পের সঙ্গে সহমত পোষণ করছিল।
চিন থেকে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে করোনা
গত বছর ডিসেম্বরে চিনের উহানে দেখা দেয় করোনা ভাইরাস। এরপর ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ইতমিধ্যেই প্রায় ২৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে এক লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনার জেরে খাদের কিনারায় ঝুলে রয়েছে অর্থনীতি।
করোনা নিয়ে চিনকে ট্রাম্পের তোপ
এই বিষয়ে সাম্প্রতিক কালে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায় যে চিনের এই ভাইরাস গোড়ায় নির্মূল করা উচিৎ ছিল। চিনকে সমর্থন করার দায়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এবার সিআইএ-এর এক অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আমেরিকায় করোনা প্রকোপ ছড়ানোর আগেই ১২ বার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এই নিয়ে অবগত করেছিল সিআইএ। তবে প্রতি বারই নাকি তাদের সতর্কবার্তায় কান দেননি ট্রাম্প।
করোনা নিয়ে সিআইএ-র রিপোর্ট অগ্রাহ্য ট্রাম্পের
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বর্তমান ও প্রাক্তন কয়েকজন কর্মকর্তা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে এ তথ্য দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই ট্রাম্পকে করোনাভাইরাসের বিস্তার ও এর সম্ভাব্য ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করে সিআইএ। কিন্তু ট্রাম্প পাত্তাই দেননি। প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার আভাস কানে তোলেননি ট্রাম্প। তিনি এ বিষয়ে গোয়েন্দাদের পাঠানো বিস্তারিত প্রতিবেদন পড়েও দেখেননি।
করোনা নিয়ে কী বলছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা?
এদিকে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ ইতিমধ্যেই করোনার উৎপত্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে , কোভিড ১৯ আসলে মানুষের হাতে বা জিনগতভাবে আসেনি। একটি দুর্ঘটনার হাত ধরে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দাদের মতে , চিনের উহান ল্যাবোরেটারিতে একটি দুর্ঘটনাবশত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন গোয়েন্দাদের এই তদন্তে বিশ্বের একাধিক দেশ সাহায্য করে চলেছে।