ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন সাপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় চিনে মৃত্যু করোনাতে, দাবি গবেষকদের
চিনে করোনা ভাইরাস রোগী ও মৃত্যুর বৈশিষ্ট্যগুলি মূল্যায়ন করে দেখা গিয়েছে যে কোভিড–১৯–এ মৃত্যুর এক–পঞ্চমাংশ দেরি করে ভেন্টিলেটর ও শ্বাসযন্ত্রের সাপোর্ট পেয়েছে। সঠিক সময়ে সেইগুলি পেলে মৃত্যু ঠেকানো যেত তাঁদের। গত বছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে এই চিনে প্রথম করোনা ভাইরাস দেখা দেয়।
উহানের ২১টি হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ
এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে। উহানের ২১টি হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ২১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ১৬৮ জন করোনা ভাইরাসে মারা গিয়েছে, এদেরকে শ্বাসযন্ত্রের সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, চিনের সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝংডা হাসপাতালে যে সব কোরনা রোগী ভর্তি ছিলেন তাঁরা সকলেই অক্সিজেন সাপোর্ট পেয়েছেন। একমাত্র ৪৬ জন রোগী তাঁদের মৃত্যুর আগে নাসাল বা ফেস মাস্ক অক্সিজেন পেয়েছেন। এত-তৃতীয়াংশ রোগী উচ্চ প্রবাহ অনুনাসিক অক্সিজেন পেয়েছেন এবং ৭২ জন রোগী ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন। এই গবেষণায় উঠে এসেছে কেবলমাত্র ৩৪ জন রোগীই ইনটিউবেটেড ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট পান।
দেরি করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট পাওয়ায় মৃত্যু
কিন্তু এই তথ্য সংগ্রহের পর বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস অধিকাংশ রোগী দেরি করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট পেয়েছেন তাই তাদের মৃত্যু ঘটেছে। প্রথমত এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, কিছু কিছু রোগীর রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি ছাড়া আর কোনও উপসর্গ মেলেনি। গবেষকরা জানিয়েছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভেন্টিলেটরের অভাবে রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, যার ফলে মৃত্যু হয়। এছাড়াও গবেষকদের মতে স্বাস্থ্যকর্মীদের দল সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ পায়নি যে কারণে রোগীর কখন ভেন্টিলেটর বা অক্সিজেনের প্রয়োজন তা তারা বুঝতে পারেনি। যে কারণে মৃত্যুপথযাত্রীদের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে ভেন্টিলেটর বা অক্সিজেনের সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুর অন্য কারণও উঠে আসছে
গবেষণায় উঠে এসেছে যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে হাইপারটেনশন দীর্ঘমেয়াদি ছিল, যা মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এমনিতেই এই মারণ ভাইরাস সোজা ফুসফুসে গিয়েই সহামলা করে বলে জানিয়েছে গবেষকরা। তবে মৃত্যুর পেছনে আর কি কি কারণ থারতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করছেন তাঁরা।