চিন নিজের নাগরিকদেরই সব থেকে বেশি ভয় পায়! জিনপিংকে কড়া 'ওষুধ' মাইক পম্পেওর
বিদেশি শত্রু থেকে নিজের দেশের জনগণের মুক্ত চিন্তাধারাকে বেশি ভয় পায় চিন। লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনা এবং হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলনের মাঝে এভাবেই বেজিংকে খোঁচা দিলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও। পাশাপাশি চিনের বিরুদ্ধে সমস্ত বিশ্বকে এক হতে হবে বলেও আবেদন জানান পম্পেও।
শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে লেখায় জেল
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ নিয়ে শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে একটি আর্টিকেল লিখে জেলে যেতে হয় সেদেশের নাগরিক শু ঝ্যাংরুনকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেজিংকে আক্রমণ করেন মাইক পম্পেও। পাশাপাশি ঝ্যাংরুনকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য চিনা সরকার ও সেদেশের কমিউনিস্ট সরকারকে আবেদন জানান পম্পেও।
চিনকে রুখতে হবে!
এদিন পূর্ব লাদাখে ভারতের সীমানায় চিনের অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাইক পম্পেও বলেন, 'আমি এই প্রসঙ্গে চিনের এবং অবশ্যই গোটা পৃথিবী জুড়ে জেনারেল সেক্রেটারি শি জিনপিং এবং তার আচরণের উল্লেখ করতে চাই। আমি মনে করি না এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির আগ্রাসী নীতিকে সবাই বোঝে। এটা রুখে এর বিচার করতে হবে।'
হিমালয় থেকে ভিয়েতনামে অশান্তি ছড়াচ্ছে চিন
পম্পেও আরও বলেন, 'হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল থেকে ভিয়েতনামের একান্ত নিজস্ব অঞ্চলের জল, দ্বীপ, সীমান্ত বিরোধ তৈরিতে প্ররোচিত করার একটা নিজস্ব ছক বেজিং-এর রয়েছে।' এই ধরনের পেশী শক্তির আস্ফালন চলতে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন মার্কিন সচিব।
চিনের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বকে এক হতে হবে
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির এই ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে সঠিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সারা পৃথিবীর আজ এক হওয়া দরকার জানিয়ে মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন। এরপরই বেজিংকে খোঁচা দিয়ে তিনি দাবি করেন, চিন নিজের নাগরিকদেরই সব থেকে বেশি ভয় পায়।