লাদাখ বিবাদের মাঝেই ফের অরুণাচলপ্রদেশ তাদের বলে চাঞ্চল্যকর দাবি চিনের!
ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনা চলছে বিগত চারমাসেরও বেশি সময় ধরে। একদিকে যেমন লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চিন সমারাস্ত্র মজুত করছে। তেমন ভাবেই ভারতও লাদাখ, সিকিম সহ ইন্দো-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বাড়তি সেনা মোতায়েন করছে। ফলে উত্তেজনা কয়েকগুন বেড়েছে এলএসি-তে। আর এরই মধ্যে এবার অরুণাচলপ্রদেশ দিয়ে নয়া বক্তব্য চিনা বিদেশমন্ত্রীর।
অরুণাচলকে নিজেদের বলে দাবি চিনের
লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনার মাঝেই নতুন ঘটনা ঘটে। চিনা সেনা পাঁচ ভারতীয়কে অপহরণ করেছে। দাবি জানান অরুণাচল প্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক নাইনং এরিং। তবে সেই অপহরণের তদন্ত শুরু হলেও কোনও অগ্রগতি হয়নি তাতে। এখনও খোঁজ মেলেনি অপহৃত সেই ব্যক্তিদের। এলএসি-র তিনটি সেক্টরের পূর্ব ভাগ হল অরুণাচলপ্রদেশ থেকে সিকিম পর্যন্ত। আর এসবের মাঝেই চিনা বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, অরুণাচলকে কোনও দিনই ভারতের এলাকা বলে মান্যতা দেয়নি বেজিং।
অপহরণ ঘিরে চাঞ্চল্য অরুণাচলে
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৯ মার্চ ২১ বছরের এক যুবককে অপহরণ করে চিনা সেনা। সুবনসিরি জেলার ম্যাকমোহন রেখার কাছ থেকে ওই যুবককে অপহরণ করা হয়। ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা যখন চরমে, ঠিক তখন পাঁচ ভারতীয়কে অপহরণের অভিযোগ উঠল চিনা সেনার বিরুদ্ধে।
অরুণাচল না কি দক্ষিণ তিব্বত
এলএসি মূলত ১৯১৪ সালের ম্যাকমোহন লাইনকে অনুসরণ করে। এর জেরে পূর্বে অরুণাচলপ্রদেশের কয়েকটি এলাকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এদিকে চিন অরুণাচলকে নিজেদের দেশের অংশ বলে দাবি করে। তাদের ভাষায় অরুণাচল হল দক্ষিণ তিব্বত। লংজু ও আসাফিলা এলাকাতেও কয়েকটি জায়গা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতান্তর রয়েছে।
এলএসি-তে সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে চিন
এদিকে জানা গিয়েছে, প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা মোতায়েন করেছে বেজিং। চিন অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ বরাবর এলএসি-তে সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে চিন। এদিকে চিনের পক্ষ থেকে কোনও আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ভারত এই তিনটি সেক্টরে সেনা বাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে কেন্দ্রের সূত্র মারফত।
বেজিংয়ের বক্তব্য
সোমবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিন বলেছেন, ভারত কখনও অরুণাচল প্রদেশকে চিনের এলাকা বলে মান্যতা দেয়নি। কিন্তু এটি আসলে চিনের দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের এই দাবির পর নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
অপহরণের বিষয়ে স্পিকটি নট
ঝাও লিজিন আরও বলেন, অরুণাচল প্রদেশের নিখোঁজ পাঁচ ভারতীয় সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নন। এই বিষয়ে কোনও তথ্যও তাদের কাছে নেই। অপহরণের কথা সরাসরি অস্বীকার করেছে তারা। অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই পাঁচ ভারতীয়কে চিন সেনাই অপহরণ করেছে। কেননা তাদের কথোপকথন ভারতীয়দের হটলাইনে ধরা পড়েছে।
সফল হল DRDO-র পরীক্ষণ, কী এই হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেটর ভেহিকেল?