চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়রের হাত ধরেই বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পেল নাসা
চেন্নাইয়ের এক ইঞ্জিনিয়রের দৌলতেই চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের ভগ্নাংশ খুঁজে পায় নাসা। নিজেরাই এই কথা জানাল নাসা কতৃপক্ষ। শানমুগা সুব্রহ্মমণ্যম নামক বয়স ৩৩-এর যুবকই আমেরিকার মহাকাশ বিজ্ঞন সংস্থাকে বিক্রমের ভগ্নাংশের স্থানের বিষয়ে অবহিত করেছিল।
|
শানমুগাকে কৃতিত্ব নাসার
আজ নাসা চাঁদের পরিদর্শনকারী অর্বিটারের তোলা একটি ছবি প্রকাশ করে বিক্রমের ক্র্যাশ সাইটের স্থানটি চিহ্নিত করে। এরপর এক বিবৃতিতে নাসা বলে, "প্রথম ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করেছিল শানমুগা। ক্র্যাশ সাইট থেকে সেটি ৭৫০ মিটার দূরে ছিল।"
|
ল্যআপটপেই খোঁজ মেলে বিক্রমের
এদিকে এই বিষয়ে শানমুগা নিজে বলেন, "আমি বিক্রম ল্যান্ডারের কক্ষপথ অনুসরণ করে অনেক কষ্ট করে ধ্বংসাবশেষটিকে চিহ্নিত করেছি। আমার খুব ভালো লাগছে এই বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে। ছোট বেলা থেকে আমার মহাকাশ বিজ্ঞানে আগ্রহ ছিল। আমি কোনও দিনও কোনও রকেট লঞ্চ মিস করিনি। সবকটি দেখেছি।" ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, "আমি আমার ল্যাপটপে চাঁদের সেই এলাকার আগের ছবি ও নাসার প্রকাশিত নতুন ছবিটি রেখে তুলনা করি। আমি সোশ্যাল মিডিয়ার আরও অনেকের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করে তারপর নাসাকে এই বিষয়ে জানাই।"
শানমুগার তথ্যের ভিত্তিতেই খোঁজ শুরু নাসার
শানমুগা সুব্রহ্মণ্যমের থেকে তথ্য পেয়ে নাসার এলআরও টিম কাজ শুরু করে বিক্রম ল্যান্ডারের খোঁজে। এরপরই এরপরই চাঁদের চারপাশে ঘুরতে থাকা নাসার অরবিটার বিক্রমের ধ্বংসাবেশেষ খুঁজে পায়।
প্রায় ৩ মাস পর বিক্রমের পরিণতি জানা গেল
চন্দ্রযান ২-এর বিক্রম ল্যান্ডার চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ মিটার দূরেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে। ফলে জল্পনা শুরু হয় যে , বিক্রম সম্ভবত নিস্তেজ হয়ে পড়ে রয়েছে চন্দ্র পৃষ্ঠে। ১৪ দিনের ব্যাটারি লাইফ থাকা বিক্রমের উপর ঘনিয়ে আসে চাঁদের দীর্ঘ 'রাত'। ফলে বিক্রমের পরিস্থিতি কী তা নিয়ে কৌতূহল বাড়তে থাকে। সেই ঘটনার প্রায় ৩ মাস পরে নাসা জানিয়ে দিল ইসরোর চন্দ্রযান ২ এর বিক্রম ল্যান্ডারের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল।
৭ সেপ্টেম্বর ভারতবাসীর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়
গত ৭ সেপ্টেম্বর আপামর ভারতবাসীর স্বপ্ন ভঙ্গ করে ইসরোর চন্দ্রযান ২ যখন বিফলে যায়, তখন তার কারণ হিসাবে উঠে আসে বিক্রম ল্য়ান্ডারের হার্ড ল্যান্ডিং ঘিরে সম্ভবনার তত্ত্ব। আর সেই তত্ত্ব কার্যত এবার সঠিক বলে প্রমাণ করে দিল নাসা। এদিকে, ভারতের বিক্রমকে খোঁজার জন্য এগিয়ে আসা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা । তখন বিক্রমের জন্য মহাকাশে বার্তাও পাঠায় নাসা।