করোনা ছড়াচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে? রেড জোন হিসাবে ঘোষিত হল বাংলাদেশের কক্সবাজার
ভারতের মতো পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও হুহু করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এই আবহে সেদেশে সব থেকে সংক্রমিত এলাকা দক্ষিণের কক্সবাজার। এই পরিস্থিতিতে সেই এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে দিয়ে সিল করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার কোনও এলাকাকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে বাংলাদেশে।
কক্সবাজারে আক্রান্তে সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে
সেদেশের সমুদ্রসৈকত শহর হিসাবে পরিচিত কক্সবাজার গত কয়েক বছরে হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সব থেকে বড় ক্যাম্প। সেখানেই হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ ধরে খুব দ্রুত হারে ছড়াতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত সেখানে করোনা আক্রান্তে সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। আর এর জেরে করোনা রুখতে সেখানে লাগু করা হল লকডাউন।
কক্সবাজারে জারি হচ্ছে লকডাউন
সকল ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী হালকা ও ভারী যানবাহন রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি গাড়ি চলাচলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি গ্রহণ করবে। অ্যাম্বুলেন্স, রোগী পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী পরিবহন, কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও জরুরী সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের গাড়ি এর আওতার বাইরে থাকবে।
বিশেষ সরকারি নির্দেশিকা
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে এই লকডাউন চলাকালীন সকল প্রকার দোকান, মার্কেট, বাজার, হাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র রবিবার ও বৃহস্পতিবার কাঁচা বাজার ও মুদি দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ওষুধের দোকান এর আওতার বাইরে থাকবে।
কক্সবাজারে ৭ হাজার ৩৫১ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা টেষ্ট
গত ৬৩ দিনে মোট ৭ হাজার ৩৫১ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা ভাইরাস টেষ্ট করা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে। তার মধ্যে ৯৫৮ জনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এতে কক্সবাজার জেলার রয়েছে ৮৭৭ জন। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৩৫ জন রোহিঙ্গা। অন্যান্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবান জেলার সীতাকুঞ্জ, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা।
বাংলাদেশে ৬৩ হাজার ২৬ জন করোনা আক্রান্ত
বাংলাদেশে মহামারি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ৮৪৬ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬৩৫ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩ হাজার ২৬ জনে।