গত কয়েক বছরের বিমান দুর্ঘটনার বৃত্তান্ত
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনার খবরে উদ্বিগ্ন অনেকেই। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনার তালিকা ও হতাহতের সংখ্যা।
গত কয়েক বছরের গুরুত্বপূর্ণ বিমান দুর্ঘটনার কালপঞ্জি
২০১৮
১১ এপিল: আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পর আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সের কাছে একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হলে মারা যান অন্তত ২৫৭ জন। নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন সেনাবাহিনী ও তাদের পরিবারের সদস্য।
১২ মার্চ: ৭১ জন যাত্রী বহনকারী একটি বিমান নেপালের কাঠমান্ডু বিমনাবন্দরের ল্যান্ডিংয়ে বিধ্বস্ত হলে মারা যায় ৪৯ জন।
১৮ই ফেব্রুয়ারি: ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে উড্ডয়নের পর ইরানের জাগরোস পর্বতমালায় বিধ্বস্ত হয় একটি বিমান। এই দুর্ঘটনায় মারা যায় ৬৬ জন।
১১ই ফেব্রুয়ারি: মস্কোর দোমোদেদোভো বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পরই শহরের ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের আর্গুনোভো গ্রামে বিধ্বস্ত হয় সারাতভ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। দুর্ঘটনায় মারা যায় যাত্রী ও ক্রু সহ বিমানে থাকা ৭১ জন।
২০১৭
২০১৭ সালে কোনো যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। বাণিজ্যিক বিমানযাত্রার ইতিহাসে সবচেয়ে নিরাপদ বছর ছিল এটি।
২০১৬
২৫শে ডিসেম্বর: রাশিয়ার সোচি থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পর কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয় একটি রাশিয়ান সামরিক বিমান। মারা যান বিমানে থাকা ৯২ জন যাত্রী ও ক্রু।
৭ই ডিসেম্বর: পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যায় বিমানে থাকা ৪৮ জন।
২৮শে নভেম্বর: ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ক্লাব শ্যাপেকোয়েন্সের খেলোয়াড়দের বহনকারী একটি বিমানে জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে কলম্বিয়ার মেডেলিনের কাছে সেটি বিধ্বস্ত হয়ে মারা যায় বিমানের ৭১ জন।
১৯শে মে: প্যারিস ও কায়রোর মধ্যে হারিয়ে যাওয়া ইজিপ্ট এয়ারের বিমান বিধ্বস্তের খবর নিশ্চিত করেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ।
১৯শে মার্চ: ফ্লাই দুবাইয়ের একটি বোয়িং বিমান রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দনে বিধ্বস্ত হলে মারা যান বিমানের ৬২ জন যাত্রী।
২০১৫
৩১শে অক্টোবর: রাশিয়ার একটি বিমান সংস্থার যাত্রীবাহী বিমান মিশর থেকে উড্ডয়নের ২২ মিনিট পর সিনাই পর্বতমালার ওপর বিধ্বস্ত হলে মারা যায় ২২৪ জন আরোহী। পরে ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানায় সিরিয়ায় রুশ অভিযানের প্রতিবাদে তারা বিমানটি ধ্বংস করেছে।
৩০শে জুন: ইন্দোনেশিয়ার একটি সামরিক পরিবহন বিমান মেদান শহরের একটি আবাসিক এলাকায় ভূপাতিত হয়। সেনাবাহিনী পরে জানায় বিমানে থাকা ১২২ জন বাদেও আরো ১৯ জন মারা যায় ঐ দুর্ঘটনায়।
২৪শে মার্চ: বার্সেলোনা থেকে ডুসেলডর্ফ যাওয়ার পথে ফ্রেঞ্চ আল্পসের কাছে দিনিয়ে শহরে বিধ্বস্ত হয় একটি এয়ারবাস। বিমানের ১৪৮ জন যাত্রীর সবাই মারা যায় ঐ দুর্ঘটনায়।
২০১৪
২৮শে ডিসেম্বর: জাভা সমুদ্রে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর যেতে থাকা এয়ার এশিয়ার একটি বিমান। বিমানটিতে ক্রু ও যাত্রীসহ মোট ১৬২ জন ছিল।
২৪শে জুলাই: মালি থেকে আলজিয়ার্স যাওয়ার পথে বুরকিনা ফাসোর সীমানার কাছে ১১৬ জন যাতী নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় একটি বিমান।
২৩শে জুলাই: পেঙ্গু দ্বীপে অবতরণের সময় সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয় ট্রান্স এশিয়া এয়ারওয়েজের ৫৮জন যাত্রী বহনকারী একটি বিমান। ঐ দুর্ঘটনায় মারা যায় বিমানে থাকা ৪৮ জন।
১৭ই জুলাই: পূর্ব ইউক্রেনের কাছে গ্রাবোভে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে মারা যায় বিমানরে ২৪৮ জন। বিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করার অভিযোগ আনা হয় রাশিয়ান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, তবে তারা ঐ অভিযোগ অস্বীকার করে।
৮ই মার্চ: কুয়ালালামপুর থেক বেইজিং যাওয়ার পথে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর বিমান চলাচলের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যাপক ও খরচসাপেক্ষ অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হয়। তবে ২০১৫ র জুলাইয়ে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের রিইউনিয়ন আইল্যান্ডে বিমানের একটি অংশ ভেসে ওঠার আগ পর্যন্ত বিমানটি সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১১ই ফেব্রুয়ারি: উত্তর-পশ্চিম আলজেরিয়ার পাহাড়ী অঞ্চলে একটি সামরিক পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হলে মারা যায় ৭৮ জন।
২০১৩
১৭ই নভেম্বর: রাশিয়ার কাজানে অবতরনের সময় বিধ্বস্ত হয় একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান। মারা যায় বিমানে থাকা ৫০ জন।
১৬ই অক্টোবর: লাওসের লাও এয়ারলাইন্সের একটি বিমান মেকং নদীতে বিধ্বস্ত হলে ৪৯ জন মারা যায়।
২০১২
৩রা জুন: নাইজেরিয়ার বৃহত্তম শহর লাগোসের কাছে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে মারা যায় বিমানের ১৫০ জন যাত্রী।
২০শে এপ্রিল: পাকিস্তানের ইসলামাবাদের কাছে বিধ্বস্ত হলে মারা যায় একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমানে থাকা ১২৭ জন।