অভিবাসীর সন্তান থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, যাত্রা পথটা কেমন ছিল ঋষি সুনকের
অভিবাসীর সন্তান থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, যাত্রা পথটা কেমন ছিল ঋষি সুনকের
প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। মাত্র ১০ বছর তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। তারমধ্যেই তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন। ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস তৈরি করেছেন। ব্রিটিশ সুনক ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের সন্তান। তিনি বিখ্যাত প্রযুক্তি সংস্থা এন নারায়নণ মূর্তির জামাই।
দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়াই
বরিস জনসন পদত্যাগ করার পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে তিনিও প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু লিজ ট্রাস জিতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন। তবে ৪৫ দিনের মাথায় তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর ফের প্রধানমন্ত্রীর জন্য লড়াইয়ে মনোনয়ন জমা দেন ঋষি সুনক। প্রথম থেকেই ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে কনজারভেটিভ দলের প্রথম পছন্দ ছিল। পেন মর্ডান্ট ১০০ জন টোরি সংসদের সমর্থন আদায় করতে পারেননি। যার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী হন।
লিজ ট্রাসের সময় ভবিষ্যৎবানী
লিজ ট্রাস যখন প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রচার চালাচ্ছিলেন, তিনি শুল্ক কমানো সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই প্রতিশ্রুতির জন্য অনেকে প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু ঋষি সুনক বলেছিলেন, বর্তমানে ব্রিটেনের যা অবস্থা, তাতে এই ধরনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। লিজ ট্রাস প্রতিশ্রুতি রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি শুল্ক কমিয়েছিলেন। তবে কিছুদিনের মধ্যে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
মাত্র সাত বছর সংসদ সদস্য
২০১৪ সালে কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ওয়েন্ডি মর্টনকে পরাজিত করে ২০১৪ সালে রিচমন্ড (ইয়র্কস)-এর কনজারভেটিভ প্রার্থী হিসেবে সুনাক নির্বাচিত হন। আগে এই আসনটি উইলিয়াম হেগের দখলে ছিল। ২০১৬ সালে সুনক গণভোটে ব্রেক্সিটকে সমর্থন করেছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি থেরেসা মে-র সরকারে পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ব্রেক্সিট উইথড্রল চুক্তিতে তিনি তিন বার থেরেসা মের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। বরিস জনসন যখন প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়াই করছিলেন, সেই সময় তিনি বরিস জনসনের হয়ে প্রচার করেন। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সুনক অর্থবিভাগের প্রধান সচিব হন। সাজিদ জাভেদের পর তিনি চ্যান্সেলর পদে নিযুক্ত হন। তিনিই প্রথম বরিস জনসনের বিরোধিতা করেছিলেন। চ্যান্সেলর পদের ইস্তফা দেন।
অভিবাসীর সন্তান
ঋষি সুনকের বাবা-মা পূর্ব আফ্রিকা থেকে ব্রিটেনে এসেছিলেন। ঋষি সুনকের বাবা একজন চিকিৎসক ছিলেন। ঋষি সুনকের মা ফার্মাসিস্ট ছিলেন। সুনকের জন্ম ব্রিটেনে হয়েছে। অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী ভারতে জন্মেছেন, ভারতেই বেড়ে উঠেছেন। তাঁর স্ত্রী ভারতীয় ছিলেন। বার বার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁর বাবা-মা ভারতীয় রীতিনীতি বজায় রেখেছেন। তিনিও ভারতীয় এবং হিন্দু রীতি মেনে চলেন।
রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পথ চলা শুরু ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষির