মানসিক অবসাদের ওষুধেই বাজিমাত, ৩২ শতাংশ পর্যন্ত কমছে করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি
মানসিক অবসাদের ওষুধেই ৩২ শতাংশ পর্যন্ত কমছে করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি
করোনা রুখতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আগে থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে একাধিক ওষুধকে ঘিরে চলে জোরদার গবেষণা। এমমকী প্রাথিমক পর্যায়ে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের মতো একাধিক ওষুধকে নিয়ে বড় আশা দেখা গেলও পরে তা নিরাশার সাগরেই তলিয়ে যায়। এদিকে বর্তমান গবেষণায় দেখা যাচ্ছে অবসাদ কমানোর ওষুধই করোনার বিরুদ্ধে কার্যত ম্যাজিকের মতো কাজ করছে।
মানসিক অবসাদের ওষুধেই বাজিমাত
সদ্য প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ কোভিড রোগীদের অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ফ্লুভোক্সামিন দেওয়া হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমতে পার। বৃহস্পতিবারই সামনে এসেছে এই নয়া গবেষণা। বেশ কয়েকটি দেশের করোনা রোগীদের উপর একযোগে চালানো হয়েছিল এই গবেষণা। আর তাতেই ওঠে এসেছে চমকপ্রদ ফল। তবে গবেষণার ফলাফল নিয়ে এখনও দ্বিধায় রয়েছেন একাটা বড় অংশের ডাক্তারেরা।
কোথায় বেরিয়েছে নয়া গবেষণা
দ্য ল্যানসেট পাবলিক হেলথ জার্নালের হাত ধরেই সামনে এসেছে এই গবেষণা। এই গবেষণাতেই অনান্য দেশের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার গবেষকরা ব্রাজিলের প্রায় ১৫০০ কোভিড রোগীর উপরেও দীর্ঘ পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়েছেন বলে জানা যায়। এদিকে ফ্লুভোক্সামিন দেওয়া ৭৪১ জন রোগীর মধ্যে ৭৯ জনই হাসপাতলে ভর্তি ছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু এই ওষুধের প্রভাবেই তাদের দ্রুত হাসপাতাল থেকেও ছাড়া পেয়ে যান।
৩২ শতাংশ পর্যন্ত কমছে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি
গবেষণায় জোরালো দাবি করে বলা হয়েছে এই ওষুধের প্রভাবে মারাত্মক ভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসাপাতালে ভর্তির ঝুঁকি প্রায় ৩২ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে নতুন আশার আলো। এদিকে ফ্লুভোক্সামিন সাধারণভাবে মানসিক রোগীদেরই দেওয়া হয়। বিষণ্নতা সহ অন্যান্য মানসিক সমস্যা ঠিক করতে এই ওষুধের জুড়ি মেলা ভার। তবে জ্বালা-যন্ত্রণা কমাতেও এই ওষুধের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে।
বিষে বিষে বিষক্ষয়
এদিকে এর আগে একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মানসিক অবসাদ ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।এর আগে যারা কোভিড আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রে মানসিক এবং মস্তিস্কের নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু সেই অবসাদের ওষুধেই করোনা মুক্তির জেরে যেন কার্যত বিষে বিষে বিষক্ষয় হয়ে যাচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।