দিল্লি কার দখলে? সিদ্ধান্ত পূর্বাঞ্চল আর পাঞ্জাবি ভোটারদের হাতে
শিয়রে বিধানসভা ভোট। তার আগে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। তাপমাত্রার পারদ কমলেও রাজনৈতিক উত্তাপ কিন্তু বাড়ছে।
শিয়রে বিধানসভা ভোট। তার আগে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। তাপমাত্রার পারদ কমলেও রাজনৈতিক উত্তাপ কিন্তু বাড়ছে। রামলীলা ময়দানে প্রচার সভা করে ভোটের দামাম বাজিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে রাজনৈতিক নেতাদের উদ্যোগ আর বাড়ছে। আপ, বিজেপি, কংগ্রেস, কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভোট ময়দানে। তবে রায় তো জনতার হাতে। দিল্লির ভাগ্য নির্ধারনের গুরু দায়িত্ব রয়েছে পূর্বাঞ্চল আর পাঞ্জাবি ভোটারদের হাতে। কারণ দিল্লির মোট ভোটারের অধিকাংশটাই এঁরা।
ফেব্রুয়ারিতে ভোট
খুব সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে দিল্লিতে। এমনই মনে করা হচ্ছে। দিল্লিতে মোট ভোটার রয়েছে ১.৪৩ কোটি। তার মধ্যে ১৪ লাখ ভোটার কেবল মহিলারা। তারমধ্যে আবার পূর্বাঞ্চল, পাঞ্জাবি এবং মুসলিম ভোটারদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোটার রয়েছে উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের।
পূর্বাঞ্চলের ভোটারদের হাতে ভাগ্য
দিল্লির সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে পূর্বাঞ্চলের ভোটার। প্রায় ২৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারই পূর্বাঞ্চলি। এই পূর্বাঞ্চলের ভোটারদের অধিকাংশই আবার কংগ্রেসপন্থী। শিলা দিক্ষিতের বড় ভোট ব্যাঙ্ক ছিল এই পূর্বাঞ্চলের ভোটাররা। অন্যদিকে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক আবার বেনিয়া সম্প্রদায়। কিন্তু ২০১৩ সালে আপ-এ দাপট যখন শুরু হল তখন আন্না হাজারের দৌলতে এই পূর্বাঞ্চলের ভোটারদের অনেকেই আপকে সমর্থন জানিয়েছিল। যার জেরেই আপের ক্ষমতায় আসা।
পাঞ্জািব ভোটারের সংখ্যাও কম নয়
দিল্লিতে পূর্বাঞ্চলের পরেই রয়েছে পাঞ্জাবি ভোটারদের আধিপত্য। ৩৫ শতাংশ ভোটার পাঞ্জাবি। দিল্লির ২০টি বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে পাঞ্চাবি ভোটার। যাদের অধিকাংশই আপের ভোট ব্যাঙ্ক। কারণ ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গার পর পাঞ্চাবি ভোটাররা কংগ্রেসকে সমর্থন জানানো বন্ধ করে দিয়েছিল প্রায়। অনেকেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল।
মুসলিম ভোটার
৪০ শতাংশ ভোটার মুসলিম। দিল্লি ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার মুসলিমরা। চাঁদনি চক, মতিয়া মহল, বল্লিমারা, ওখলা, সেলিমপুর এই এলাকাগুলিতে মুসলিম ভোটারদের সংখ্যাই বেশি। মোদী সরকারের সিএএ সিদ্ধান্তের পর এই মুসলিম ভোটাররা কতটা তাঁদের সমর্থন জানাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
সিএএ বিক্ষোভ: বিতর্কিত পিএফআই এবার পাশে চাইছে মমতার দলকে! নয়া বিতর্ক বাংলার বুকে