রাফালে মোকাবিলায় অপারেশন ইউনিকর্ন! লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী হাতে অস্ত্র
২০১৯-এর নির্বাচনের আগে বড় সাফল্য পেল নরেন্দ্র মোদী সরকার। রাজনৈতিক ভাবে সংবেদনশীল অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড ভিভিআইপি হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারিতে মধ্যমনি হিসেবে অভিযুক্ত ভারতের হাতে।
২০১৯-এর নির্বাচনের আগে বড় সাফল্য পেল নরেন্দ্র মোদী সরকার। রাজনৈতিক ভাবে সংবেদনশীল অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড ভিভিআইপি হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারিতে মধ্যমনি হিসেবে অভিযুক্ত ব্রিটিশ নাগরিক ক্রিশ্চিয়ান জেমস মাইকেলকে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে ভারতের হাতে। একদিকে যখন রাফালে নিয়ে মোদী সরকারকে চাপে রেখেছেন রাহুল, সেই সময় এই প্রত্যর্পণ যে রাজনৈতিক হয়ে উঠতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইউএই থেকে আনা হয়েছে
ক্রিশ্চিয়ান
জেমস
মাইকেলকে
আনা
হয়েছে
সংযুক্ত
আরব
আমীরশাহী
থেকে।
জাতীয়
নিরাপত্তা
উপদেষ্টা
অজিত
দোভাল
তাকে
ভারতে
আনতে
উল্লেখযোগ্য
ভূমিকা
নিয়েছেন।
সংযুক্ত
আরব
আমীরশাহীর
আদালত
অভিযুক্তের
আবেদন
খারিজ
করে
দেওয়ার
পর
সেখানকার
সরকার
৫৭
বছর
বয়স্ক
অভিযুক্তকে
ভারতের
হাতে
তুলে
দেয়।
অপারেশন ইউনিকর্ন
ক্রিশ্চিয়ান জেমস মাইকেলকে ভারতে প্রত্যর্পণের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ইউনিকর্ন। এতে সাহায্য করেছেন সিবিআই-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাও।
কে ক্রিশ্চিয়ান মাইকেল
অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড ভিভিআইপি হেলিকপ্টার ক্রয়ে ক্রিশ্চিয়ান মাইকেল জেমস প্রধান অভিযুক্ত। তিনি একজন ব্রিটিশ কনসালট্যান্ট। অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড তাকে কাজে লাগিয়েছিল ভারতীয় বিমান বাহিনীর অফিসারদের প্রভাবিত করতে। এছাড়াও তৎকালীন ইউপিএ সরকারের প্রতিনিধিদেরও প্রভাবিত করেন বলে অভিযোগ। ৩৬০০ কোটি চুক্তি পাকা করেন এই ব্যক্তিই, অভিযোগ এমনটাই।
ক্রিশ্চিয়ান মাইকেলই কি একমাত্র মিডলম্যান
অভিযোগ অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড চুক্তিতে তিনজন মিডলম্যান ছিলেন। তাঁদের একজন হলেন এই ক্রিশ্চিয়ান মাইকেল। অন্য দুজন হলেন, গুইডো হ্যাসকে এবং কার্লো গেরোসা। সিবিআই এবং ইডির তালিকাতেও ছিল অভিযুক্তদের নাম।
মাইকেল গ্রেফতার কবে
সিবিআই-এর সূত্র অনুযায়ী, ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমীরশাহী কর্তৃপক্ষ গ্রেফতার করে।
অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড নিয়ে ভারতে তদন্ত
গত বছর ইডি অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড নিয়ে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেয়। তাতে অভিযোগ করা হয় ক্রিশ্চিয়ান মাইকেল নগদে বেশ কয়েকজনকে টাকা দিয়েছেন। দিল্লির বিশেষ আদালতে ২০১৮-র জুনে ইডি জানায় ৩০ মিলিয়ন ইউরো( ভারতীয় মূল্যে ২২৫ কোটি টাকা) ঘুষ হিসেবে নিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ান মাইকেল। সেই টাকা চালকের মাধ্যমে বিমান বাহিনীর কর্তাব্যক্তি শেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদেরও দেন বলে অভিযোগ।
এই মামলায় কংগ্রেস ও বিজেপি
এই মামলায় অন্যতম মিডলম্যান গুইডো হ্যাসকের কাছ থেকে পাওয়া একটি হাতে লেখা কাগজ থেকে গান্ধী পরিবারকে জড়ানো হয়। যদিও সেই কাগজে শুধুমাত্র ফ্যামিলি কথাটি লেখা ছিল। মাইকেল কাগজটিকে ভুয়ো বলে দাবি করেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে।