জারি নতুন নিয়ম, ১৮–৪৫ বছরের নাগরিকরা টিকাকেন্দ্রে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না
১৮–৪৫ বছরের নাগরিকরা টিকাকেন্দ্রে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না
আগামী ১ মে থেকে শুরু হতে চলেছে দেশে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ কর্মসূচি। এই পর্যায়ে ১৮–৪৫ বছরের নাগরিকরাই অগ্রাধিকার পাবেন। ২৮ এপ্রিল থেকে কোউইন পোর্টালে শুরু হবে নাম নথিভুক্তকরণের কাজ। এরপরই যোগ্য ব্যক্তিরা চিকাকরণের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। তবে এই পর্যায়ের টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করার কাজ বন্ধ থাকবে, কারণ প্রাথমিভাবে টিকাকরণ কেন্দ্রে ভিড় এড়াতে চাইছে সরকার।
১৮–৪৫ বছর বয়সীদের নাম নথিভুক্ত কোউইনে
তবে যাঁদের বয়স ৪৫ বা তার বেশি তাঁরা এখনও টিকাকরণ কেন্দ্র গিয়ে নাম নথিভুক্ত করার সুবিধা পাবেন এবং টিকাও নিতে পারবেন। দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভের সংক্রমণ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বেড়ে যাওয়ার ফলে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের টিকাকরণ করানো হবে। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ১৮-৪৫ বছরের নাগরিকরা কোউইন পোর্টাল ও আরোগ্য সেতু অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। টিকাকরণের পদ্ধতি ও নথি সরবরাহের বিষয়টি একই রকম রয়েছে।
টিকাকরণ কেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত নয়
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, 'চাহিদা বাড়ার কারণে সকলের জন্য টিকাকরণ খুলে দেওয়া হল। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোউইন পোর্টালেই বাধ্যতামূলক নাম নথিভুক্ত করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে ১৮ ও ৪৫ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স তাঁদের। টিকাকরণের শুরুর দিকে কেন্দ্রে এসে নাম নথিভুক্ত করা যাবে না, তাই কোনও ভিড় হওয়ার আশঙ্কা নেই। '
বেসরকারি সুবিধায় ২৫০ টাকা একটি ডোজের মূল্য
১ মে থেকে বেসরকারি কোভিড-১৯ টিকাকরণ কেন্দ্র সরকার থেকে ভ্যাকসিন ডোজ কিনে তা জনসাধারণকে ২৫০ টাকা প্রতি ডোজ বিক্রি করবে। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলি ভ্যাকসিন নির্মাতাদের কাছ থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন কিনবে বলে জানা গিয়েছে। কোভিড-১৯ টিকাকরণ কৌশল অনুসারে, সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে কোভিড-১৯ টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন ডোজগুলি কেন্দ্রের থেকে কেনা হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী ও ৪৫ বছররে ঊর্ধ্বে থাকা নাগরিকদের টিকা দেওয়ার জন্য।
ওষুধের দোকানে মিলবে না ভ্যাকসিন
ভ্যাকসিন নির্মাতারা ১ মে-এর আগে রাজ্য সরকারের খোলা বাজারে ৫০ শতাংশ সরবরাহ করার অগ্রিম মূল্য ঘোষণা করেছে। এই মূল্যের ভিত্তিতে, রাজ্য, বেসরকারী হাসপাতাল, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি নির্মাতাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন ডোজ সংগ্রহ করতে পারে। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতাল সরাসরি ভ্যাকসিন নির্মাতাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পারবে বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূশন জানিয়েছেন যে এই ভ্যাকসিন কোনও ওষুধের দোকানে পাওয়া যাবে না।