বাড়তে পারে লকডাউন, ইঙ্গিত ভেঙ্কাইয়া নাইডুর বক্তব্যে! কী বললেন উপরাষ্ট্রপতি?
কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের সময়সীমা কি বাড়ানো হবে? নাকি ১৪ এপ্রিলের পর দেশ থেকে তুলে নেওয়া হবে লকডাউন। এই প্রশ্নই এখন সবার মুখে মুখে। এরই মধ্যে দেশে করোনা সংক্রমণের হার লাগাম ছাড়াচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে যে, লকডাউন থাকাকালীনই যদি এত লোক করোনা আক্রান্ত হন তবে লকডাউন উঠে গেলে কী অবস্থা হবে দেশের? এর জেরে একাংশের মত, বাড়ানো হোক লকডাউন। আর এবার সেই ইঙ্গিতই পাওয়া গেল উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর বক্তব্যে।
কী বলেন উপরাষ্ট্রপতি?
এদিন উপরাষ্ট্রপতি বলেন, মানুষের উচিৎ এই লকডাউনকে মেনে চলা। যদি এই কষ্ট ১৪ এপ্রিলের পরও ভোগ করতে হয়, সেটাও বোঝা উচিৎ মানুষের। একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এখন আমাদের কষ্ট করে নেওয়া উচিৎ। আসুন আর একটু কষ্ট করে আরও কিছুদিন কাটিয়ে দিই।'
লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি রাজ্যগুলির
ইতিমধ্যেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ডাক দিয়েছে তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ এবং অসমের মতো রাজ্যগুলি, এরই মধ্যে এমন বিবৃতি দিলেন ভেঙ্কাইয়া নাইডু। আর তাঁর এই বক্তব্যের জেরেই ফের জল্পনা তৈরি হয়েছে করোনা লকডাউনের সময়সীমা নিয়ে।
লকডাউন তোলার বিষয়ে নানা জল্পনা
ইতিমধ্যেই লকডাউন তোলার এই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের একাংশে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছে বাড়তে পারে লকডাউন। কেউ কেউ আবার বলছে একসঙ্গে টানা লকডাউন না করে কিছুদিন অন্তর লকডাউন করা হবে।
লকডাউনের নিয়ম থেকে মুক্তি পাবে কৃষিক্ষেত্র
প্রশাসনের এক অসমর্থিত সূত্রে খবর, লকডাউনের নিয়ম থেকে মুক্ত করা হতে পারে কৃষিক্ষেত্রকে। কারণ উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। কিছুক্ষেত্রে বিমান পরিষেবা চালু হবে। তবে, সংক্রমণ প্রভাবিত এলাকাগুলি এক্ষেত্রে এড়িয়ে যাওয়া হবে।
রাজ্যগুলিকে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে বলে কেন্দ্র
এর আগে ২৪ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ২১ দিন ব্যাপী লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, করোনার জেরে যে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে হবে। রাজ্যগুলিকে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে এবং যে জায়গাগুলিতে সংক্রমণের প্রভাব কম ধীরে ধীরে সেগুলি খুলতে হবে।
লাগামহীন হয়ে পড়েছে দেশের করোনা পরিস্থিতি
এদিকে এই মুহূর্তে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছুঁতে চলেছে। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে লকডাউন উঠবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।