টিকায় রয়েছে ২০ দিনের কম বাছুরের রক্তরস? ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে বিদ্ধ কোভ্যাক্সিন
ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে বিদ্ধ কোভ্যাক্সিন
বাছুরের
রক্তরস
দিয়ে
কোভ্যাক্সিন
তৈরির
অভিযোগ
সামনে
এসেছিল
অনেক
আগেই।
তখন
বিষয়টিকে
বিশেষ
পাত্তা
দেয়নি
কেউই।
এবার,
একটি
আরটিআই-র
রেশ
ধরে
ফের
উঠে
এল
সেই
তরজা।
১৫
জুন,
কংগ্রেস
নেতা
গৌরব
পান্ধি
টুইটারে
একটি
পোস্টে
দাবি
করেন
২০
দিনের
চেয়ে
কম
বয়সের
বাছুরের
সিরাম
কোভ্যাকসিনে
ব্যবহার
করা
হচ্ছে।
তারপরেই
শুরু
হয়
ব্যাপক
বিতর্ক।
এমনকী এই বিষয়ে করা এক আরটিআইয়ে প্রথমে বিষয়টি স্বীকারও করে নেয় সরকার। পালটা সাফাই দেয় ভারত বায়োটেক। গরুর বাছুরের সিরাম ভাইরাল ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয় বলে জানায় ভারত বায়োটেকও। আর তা ব্যবহার করা হয় কোষের বৃদ্ধির জন্য। কিন্তু চূড়ান্ত টিকা প্রস্তুতিতে এর কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি তাদের।
যদিও কংগ্রেস নেতা গৌরব পান্ধির দাবি ২০ দিনের চেয়ে কম বয়সের বাছুরকে মেরে তারপর ব্যবহার করা হয় এই ভ্যাকসিন তৈরির জন্য। এটা জঘন্য অপরাধ। এই বিষয়ে আগেই জনসাধারণকে সচেতন করার প্রয়োজন ছিল। এই ভাবে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।
যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটি টুইটে দাবি করেছে, কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত প্রোডাক্টে বাছুরের সিরাম নেই। তথ্যকে ভুলভাবে তুলে ধরে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে না। যদিও এটাই প্রথম নয়। এরআগেও একই পদ্ধতিতে দেশে টিকা তৈরি হয়েছে, যেখানে বাছুরের সিরাম ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ভারত বায়োটেক কোনও তথ্য গোপন করেনি বলেনি কেন্দ্রের দাবি। প্রায় ৯ মাস ধরে এই বিষয়ে সার্বজনিক ভাবে তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।