দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে শহরাঞ্চল, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রাও, দাবি গবেষকদের
দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে শহরাঞ্চল, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রাও, দাবি গবেষকদের
দেশে নগরায়নের ক্রমবর্ধমান হার এবং মেট্রোপলিটন শহরগুলিতে সবুজের অভাবকেই দায়ি করা হচ্ছে তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য। অথচ নগরায়নের আশপাশের অঞ্চলগুলি কিন্তু তুলনামূলকভাবে অনেকটাই শীতল। সম্প্রতি আইআইটি খড়গপুরের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে দেশের প্রত্যেকটি শহরই পরিণত হচ্ছে 'উত্তপ্ত দ্বীপে’। তার কারণ শহরাঞ্চলের বিভিন্ন কার্যকলাপ। ১ মিলিয়নের বেশি জনসংখ্যা সহ ৪৪ শহর নিয়ে এই গবেষণা হয়েছিল। যেখানে উঠে এসেছিল যে শহরগুলিতে মানবজাতির তৈরি করা কাঠামোর জন্যই তাপমাত্রা বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে তুলনায় প্রতিবেশী অঞ্চলগুলি বেশি সবুজ হওয়ার কারণে সেখানে অপেক্ষাকৃত কম তাপমাত্রা রয়েছে।
শহর পরিণত হচ্ছে ‘উত্তপ্ত দ্বীপ’–এ
এমন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এবার উত্তাপ পুরানো সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। একটি দীর্ঘ গবেষণায় আইআইটি খড়গপুর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে ভারতের গ্রামগুলির চেয়ে শহরে বেশি তাপ বাড়ছে। দেশের গ্রামগুলির চেয়ে শহরগুলি উষ্ণ হয়ে উঠছে। এই সমস্যাটিকে বিজ্ঞানীদের ভাষায় শহুরে ‘উত্তপ্ত দ্বীপ' বলা হয়। আইআইটি খড়গপুরের গবেষকরা দেশের ৪৪টি শহরে ১৬ বছর ধরে গবেষণা করার পরে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
পুনে, কলকাতা ও গুয়াহাটিতে তাপ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে
আইআইটির মতে, এই উত্তাপ ভবিষ্যতের জন্য বড় হুমকির কারণ হতে পারে। তবে পুনে, কলকাতা, গুয়াহাটির মতো শহরগুলিতে সবুজ রঙের কারণে তাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মুম্বই, দিল্লির মতো শহরে রাতেও তাপমাত্রা বেশ ভালো রকমই বৃদ্ধি পায়। কারণ এই দুই শহরে সবুজের ভাগ অনেকটাই কম।
দ্রুত বাড়ছে শহর
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ভারতের দ্রুত নগরায়ণের ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশের শহরের জনসংখ্যা তার গ্রামাঞ্চলকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। বর্তমানে, ভারতের ৩১.৬ শতাংশ জনসংখ্যা শহরাঞ্চলে বাস করে। তবে একটি জনগণনার পাল্টা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি ( এক মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দার অঞ্চল) ২০০১ সালে ৩৫ থেকে বেড়ে ২০১১ সালে ৫৩-এ উন্নীত হয়েছে।