কোভিড লকডাউনে অসুরক্ষিত যৌনতা, ৮৫ হাজারের বেশি দেশবাসী আক্রান্ত এইচআইভিতে
কোভিড লকডাউনে অসুরক্ষিত যৌনতা, ৮৫ হাজারের বেশি দেশবাসী আক্রান্ত এইচআইভিতে
২০২০–২১ সালে, যখন দেশজুড়ে করোনার কারণে লকডাউন ছিল, সেই সময় অসুরক্ষিত সহবাসের কারণে ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তথ্য জানার অধিকারে এক প্রশ্নের জবাবে এটা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ১০,৪৯৮টি কেস নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র।
শীর্ষে মহারাষ্ট্র
এই একই সময়ে মহারাষ্ট্রের পরই রয়েছে ৯,৫২১টি কেস নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ৮,৯৪৭টি কেস নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে যথাক্রমে ৩,০৩৭টি এবং ২,৭৫৭টি কেস পাওয়া গিয়েছে এইচআইভির। প্রসঙ্গত মধ্যপ্রদেশের এক সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর গৌরের আরটিআই প্রশ্নের জবাবে এই উত্তর দিয়েছে ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (নাকো)।
১৭ লক্ষের মানুষ আক্রান্ত
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে দেশে ১৭ লক্ষের বেশি মানুষ এইচআইভি-তে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এর পিছনে থাকা প্রধান কারণই হল অসুরক্ষিতভাবে যৌনতার সংস্পর্শে আসা, যদিও এই পরিসংখ্যানে হ্রাস লক্ষ্য করা যায়। অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের ফলে ২০১১-১২ সালে ২.৪ লক্ষ মানুষ এইচআইভি-তে আক্রান্ত হয়েছেন, যদিও সংখ্যাটা ২০২০-২১ সালে কমতে দেখা যায় এবং তা ৮৫,২৬৮-তে এসে দাঁড়ায়।
দশ বছরের পরিসংখ্যান
গত দশ বছরে, অন্ধ্রপ্রদেশে রেকর্ড হয়েছে সর্বাধিক এইচআইভি কেস ৩,১৮,৮১৪। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র ২,৮৪,৫৭৭, কর্নাটক ২,১২,৯৮২, তামিলনাড়ু ১,১৬,৫৩৬, উত্তরপ্রদেশ ১,১০,৯১১ এবং গুজরাত ৮৭,৪৪০। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালে এইআইভি নিয়ে রয়েছেন ২৩,১৮,৭৩৭ জন, যার মধ্যে ৮১,৪৩০ জন শিশু।
কীভাবে ছড়ায় এইচআইভি
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আঘাত করে এইচআইভি অর্থাৎ হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস। যদি না চিকিৎসা করা হয় তবে এটা এইডসে পরিণত হয়। এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে আক্রান্তের রক্ত, স্পার্ম ও যোনির তরল থেকে। বর্তমানে এইচআইভি সম্পূর্ণ নিরাময়ের কোনও চিকিৎসা নেই। একবার এইচআইভি-তে আক্রান্ত হলে সারাজীবন বয়ে বেরাতে হয়। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে এইচআইভি-র প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুচিকিৎসা পেলে সাধারণ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারেন।
এইচআইভি-র উপসর্গ
এইচআইভি আছে কিনা তা জানার একমাত্র উপায় এইচআইভি পরীক্ষা। এইচআইভি সংক্রামিত হলে ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এছাড়াও জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, ব্রণ, রাতে ঘাম, পেশী ব্যথা, গলা ব্যথা, ক্লান্তি।
তৃতীয় ওয়েভের বিএ.২–এর থেকে বেশি বিপদজ্জনক নতুন ভ্যারিয়েন্ট, সন্ধান মিলল পাটনায়