কেন্দ্রীয় বাজেট : জিএসটি-কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধা জানালেন অর্থমন্ত্রী সীতারমন
শনিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ তাঁর দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপন করলেন সংসদে। বাজেট উপস্থাপনের আগে তিনি মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যে। আগামী অর্থবর্ষের জন্যে সরকারের পরিকল্পনা উপস্থাপন করার আগে অর্থমন্ত্রী জিএসটিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
|
পাঁচ বছরের খতিয়ান তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী বলেন, '২০১৯ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও সরকার গঠনের জন্য বিশাল জনাদেশ পেয়েছিলেন। নতুন উদ্দমের সাথে তাঁর নেতৃত্বে আমরা জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের জনগণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যেই নয় বরং আমাদের অর্থনৈতিক নীতির প্রতি বিশ্বাসের ফলেই আমাদের বেছে নিয়েছে।'
|
অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধা জানান অর্থমন্ত্রী
এরপর অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি গুডস এন্ড সার্ভিসেস ট্যাক্সের প্রধান রূপকার অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধা জানাই। কাঠামোগত সংস্কারগুলির মধ্যে সবচেয়ে ঐতিহাসিক হল জিএসটি। জিএসটি ধীরে ধীরে এমন একটি কর ব্যবস্থায় পরিপক্ক হয়ে উঠেছে যা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সংহত করেছে।'
অর্থমন্ত্রকের জন্যে খুশির খবর
সংসদে বাজেট পেশের আগেই অর্থমন্ত্রকের জন্যে খুশির খবর নিয়ে আসে জিএসটি। জানুয়ারি মাসে রেকর্ড পরিমাণ জিএসটি সংগ্রহ হয়েছে। জানুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক হিসেবে এমাসের জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ১.১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। ডিজিএসটি সংগ্রহ হয়েছে ৮৬,৪৫৩ কোটি টাকা। আর আইজিএসটি সংগ্রহ হয়েছে ২৩,৫৯৭ কোটি টাকা।
জিএসটি নিয়ে মাথা ব্যথা
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরে জিএসটি আদায় ছিল সর্বনিম্ন। আদায় হয়েছিল ৯২ হাজার কোটি টাকা। এরপরই জিএসটি আদায় বাড়ানোর বিষয়ে কমিটি গঠন করে সরকার। সেই কমিটি জিএসটির জন্য চালু থাকা আইন এবং পদ্ধতি খতিয়ে দেখবে। কোনও পরিবর্তন দরকার হলে তার সুপারিশ করবে বলেও জানানো হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বছরের তুলনায় কম রাজস্ব আদায়ের অন্যতম মূল কারণ অর্থনৈতিক মন্দা। বাজারকে চাঙ্গা করতে জিএসটিতেও রদবদল করতে হয়েছে মোদী সরকারকে। একাধিক দ্রব্যের উপর জিএসটি কমাতে বাধ্য হয়েছে মোদী সরকার। তবে সেই ঘআটতি কাটিয়ে উঠিয়ে এবার ম্যাজিক ফিগার পার করে জিএসটি আদায়।
ধীরে ধীরে জিএসটি আদায়ে বৃদ্ধি
কর সচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে গতমাসের শুরুর দিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন কর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। ডিসেম্বরে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ১.০৩ লক্ষ কোটি টাকা। ডিজিএসটিতে বৃদ্ধি ছিল ১১.৫ শতাংশ আর আইজিএসটিতে বৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশের মতো।
২০১৭ সালে চালু হয় জিএসটি
২০১৭ সালের ১ জুলাই চালু হয়েছিল জিএসটি। সেই সময় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি আনেক রাজনৈতিক দল জিএসটি বাতিলের দাবিতে পথে নেমেছিলেন। এর আগে জিএসটি চালু হওয়ার ২ বছর পূর্তি উপলক্ষে জুন মাসের শেষে পদ্ধতি সরল করার উদ্দেশে একগুচ্ছ সংস্কার করেছিল সরকার। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কর জমা দেওয়ার পদ্ধতির সরলীকরণ।