Ukraine-Russia crisis: যুদ্ধে দাম বাড়ল অপরিশোধিত তেলের, ফের পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা
Ukraine-Russia crisis: যুদ্ধে দাম বাড়ল অপরিশোধিত তেলের, ফের পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা
ফের অগ্নিমূল্য হতে চলেছে পেট্রোল-ডিজেল। কারণ সেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে অপরিশোধিত তেলের দাম ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে হঠাৎ করে। যার কারণ সেই ইউক্রেন এবং রাশিয়া। এই যুদ্ধের ৭ দিন হয়ে গেল। তোলপাড় গোটা বিশ্ব। তারপরেও কোনও ভাবেই থামছে না যুদ্ধের আগুন। উল্টে বেড়েই চলেছে যুদ্ধের তেজ। তার জেরে নাভিশ্বাস দশা হতে চলেছে বাকি দেশগুলির। সবার আগে কোপ পড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দামে। জ্বালানি তেলের দাম যে উর্ধ্বমুখী হবে তা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদরা।
দাম বাড়বে জ্বালানি তেলের
সুখের দিন শেষ। ফের বাড়তে চলেছে পেট্রোল ডিজেলের দাম। দীপাবলির আগে পর্যন্ত ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। শেষে তেলের দাম কমাতে ময়দানে নামাতে হয়েছিল কেন্দ্রকে। কর কমিয়ে দাম কমাতে হয় পেট্রোল ডিেজলের। তারপর থেকে দাম মোটের উপর নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু ফের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এবার কারণ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। যার জেরে অপরিশোধিত তেলের দামঅনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তার প্রভাব পড়বে পেট্রোল-ডিজেলের দামে।
অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি
এক ধাক্কায় অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম। ১০০ মার্কিন ডলার ব্যারেল প্রতি পরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে ১০২ মার্কিন ডলার হয়ে গিয়েেছ। ২০১৪ সালের অগাস্ট মাসের পর এই প্রথম এতটা দাম বেড়েছে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম। যার জেরে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়তে শুরু করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভোটের কারণে দাম বাড়েনি
দীপাবলীর পর থেকে পেট্রোল-ডিজেলের নাম নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের কারণে দাম বাড়েনি পেট্রোল ডিজেলের। ১০ তারিখেই বেরিয়ে যাচ্ছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল। তারপরেই পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়তে শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার উপরে আবার যুদ্ধের কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে শুরু করায় আরও জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জ্বালানি েতলের দাম বাড়লে সব জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনে তৃতীয় রাশিয়া
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ অষ্টম দিনে পড়েছে। তার মধ্যেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে গোটা বিশ্বে। বিশেষ করে জ্বালানির ক্ষেত্রে দাম বাড়তে শুরু করেছে। কারণ ইউরোপের মধ্যে রাশিয়া ১০ শতাংশ প্রাকৃিতক গ্যাস উৎপাদন করে থাকে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনে রাশিয়া বিশ্বে তৃতীয় এবং ইউক্রেন হয়ে পাইপ লাইনে সেই গ্যাস পৌঁছয় অন্যান্য দেশে। যুদ্ধের কারণে সেই পাইপলাইনে প্রবল ক্ষতি হয়েছে। যদিও ভারত রাশিয়ার খুব সামান্য পরিমানে নির্ভরশীল। রাশিয়া থেকে মোট তেল আমদানির মাত্র ১ শতাংশ আসে ভারতে। কাজেই সেক্ষেত্রে ভারতের খুব একটা প্রভাব পড়ার কথা নয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি প্রভাব ফেলবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
জিনিসের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা
পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়তে শুরু করলে জিনিেসর দামও বাড়তে শুরু করবে। কারণ পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হলে পরিবহণ খরচ বাড়বে। তাহলে জিনিসের দামও বাড়বে। সেই কারণেই নভেম্বর মাসে দেশের মূদ্রাস্ফীতি রেকর্ড বৃদ্ধি হয়েছিল। সেটা হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করবে। কাজই একদিকে বিধানসভা নির্বাচনের শেষ হওয়ার তার উপরে যুদ্ধের কারণে অপরিশোধিত তেলের দামবৃদ্ধি। দুই মিলিয়ে অনেকটাই বাড়বে তেলের দাম।