সিনিয়রিটিকে উপেক্ষা! এবার সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে বিতর্ক
কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীতকরা হয়েছে। তাদের নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।
কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত করা হয়েছে। যদিও তাদের নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। ৩২ জন বিচারপতিকে টপকে তাঁদের সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ অনুমোদন করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শুক্রবার দুই বিচারপতির শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা। সব কিছু ঠিকঠাক চলছে বিচারপতি খান্না ২০২৪ সাল নাগাদ ভারতের প্রধান বিচারপতি হতে পারেন।
জানা গিয়েছে এই দুই বিচারপতি পদোন্নতিতে আপত্তি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের এক প্রাক্তন বিচারপতি। কৈলাস গম্ভীর নামে ওই প্রাক্তন বিচারপতির অভিযোগ ছিল ৩২ জনকে টপকে ওই দুজনকে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও তাতে কোনও আমল দেননি রাষ্ট্রপতি।
জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে ওপরে থাকা পাঁচ বিচারপতি ডিসেম্বর নাগাদ তাঁদের প্রস্তাব তালিকা পাঠিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রদীপ নন্দ্রযোগ, ছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন। কিন্তু জানুয়ারিতে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। কলেজিয়ামের তরফ থেকে বিচারপতি মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি খান্নার নাম পাঠানো হয়। এই সিদ্ধান্তের জেরে অনেকেই অসন্তোষ জানান বলে সূত্রের খবর।
ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরএম লোধা বলেছেন কলেজিয়ামের স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা উচিত। এক জুনিয়র বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এটা তাঁকে অবাক করেছে বলেও সংবাদ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল সোালি সোরাবজিও এই সিদ্ধান্তে মর্মাহত।
তবে এই বিষয়টি আরও ব্যাপকতা পেয়েছে বার কাউন্সিল প্রতিবাদকারীদের পক্ষে দাঁড়ানোয়। বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এমকে মিশ্র সংবাদ মাধ্যমেকে জানিয়েছেন, তাঁরা কলেজিয়ামের সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করবেন।