দিল্লিতে বড় নাশকতার ছক! অসম থেকে গ্রেফতার ৩ সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি
বড় নাশকতার হাত থেকে বাঁচল দিল্লি। সঙ্গে অসমও। দিল্লি পুলিশের অভিযানে অসমের গোয়ালপাড়া থেকে গ্রেফতার জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর একটি মডিউল। এই মডিউলে ছিল তিনজন।
বড় নাশকতার হাত থেকে বাঁচল দিল্লি। সঙ্গে অসমও। দিল্লি পুলিশের অভিযানে অসমের গোয়ালপাড়া থেকে গ্রেফতার জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর একটি মডিউল। এই মডিউলে ছিল তিনজন। যাদের একজন আবার কয়েকমাস আগে লাভ জিহাদ বিতর্কেও জড়িয়েছিল। অসমের বাসিন্দা এই তিনজন আইএস-এর বাংলাদেশ মডিউলের থেকে উৎসাহ পেয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের বিশেষ বাহিনী এবং অসম পুলিশ একসঙ্গে অভিযান চালায়। পুলিশের দাবি গ্রেফতার হওয়া তিনজন রাজধানী দিল্লিতে নাশকতার ছক কষছিল। ধৃতদের কাছ থেকে বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় রাসমেলা ধৃতরা আইইডি বিস্ফোরণের চক্রান্ত করেছিল বলে দাবি পুলিশের। ধৃত তিনজনের নাম হল রণজিৎ ইসলাম, মুকাদির ইসলাম, লুইত জামিল জামান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জামিলের সঙ্গে গোয়ালপাড়ার কৃষ্ণাইয়ের এক হিন্দু যুবতীর সম্পর্ক ছিল। দুজনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় যাওয়ার পরেই লাভ জিহাদের অভিযোগ ওঠে। এরপরেই জামিলের সঙ্গে আইএস মডিউলের রণজিতের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভিডিও দেখে বম্ব তৈরির প্রশিক্ষণও নেয় সে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ইসলাম এবং জিহাদের পাঠও নেয় সে।
পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অসমে নাশকতার চক্রান্তের পাশাপাশি তারা রাজধানী দিল্লিতেও নাশকতার ছক কষছিল। এই তিনজনের সঙ্গে দিল্লিতে থাকা অন্য কোনও লোকজনের সংযোগ রয়েছে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধৃতরা জানিয়েছে, তারা দিল্লিতে আইইডি বিস্ফোরণের জন্য বিভিন্ন জিনিস যোগার করেছিল। ধৃতদের কাছ থেকে এইসব জিনিস ছাড়াও, ছুরি ও ছোরাও উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, জামিল আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে সুপারভাইজারের কাজ করত। রণজিৎ কাজ করত মাছ বাজারে। অন্যদিকে মুকাদির ছিল বেকার। এদের তিনজনেরই বয়স ২২ থেকে ২৪ বছর বলে জানা গিয়েছে।