ওঁরা ব্যাট নয়, ব্যাটম্যান! লাদাখে চিনকে রুখে দেওয়া বিহার রেজিমেন্টের স্তুতিতে ভারতীয় সেনা
কার্গিল যুদ্ধে বিহার রেজিমেন্টের অবদানকে স্মরণ করল ভারতীয় সেনা। পাশাপাশি একটি ভিডিও টুইট করে বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানদের সাহস এবং বীরত্বকে কুর্নিশ জানানো হয়। 'দ্য সাগা অফ দ্রুব ওয়ারিয়রস, দ্য স্টোরি অফ লায়নস। লড়াই করার জন্য জন্মেছে। ওরা বাদুড় নয়, ব্যাটম্যান।' এভাবে সম্মান জানানো হয়।
১৮৫৭ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত বিহার রেজিমেন্টের স্মৃতি
নর্দান কমান্ডোর তরফে টুইটারে লেখা হয়, 'প্রত্যেক সোমবারের পর একটা মঙ্গলবার আসে। বজরং বলি কি জয়।' বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানরা যখন যুদ্ধক্ষেত্রে যান, তখন বজরং বলি কি জয় স্লোগান দেন। ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ১৮৫৭ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত বিহার রেজিমেন্টের সমস্ত কঠিন মিশনের স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে।
কার্গিল যুদ্ধে বিহার রেজিমেন্ট
এরমধ্যে কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনার থেকে একটি স্ট্র্যাটেজিক এলাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ভিডিও রয়েছে। ভিডিওতে ভয়েস দেওয়া মেজর অখিল প্রতাপ বলেছেন, '২১ বছর আগে এই জুন মাসে কার্গিলে অনুপ্রবেশকারীদের রক্ত ঝরিয়েছিল বিহার রেজিমেন্ট। ওই তীব্র ঠান্ডায় নিজেদের আগে থেকে তৈরি করে রেখেছিলেন জওয়ানরা। সাহসের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের হটিয়ে গর্বের সঙ্গে ফিরে এসেছিলেন।'
কর্নেল সন্তোষবাবুকে শ্রদ্ধা অর্পণ
গত সপ্তাহে পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন কর্নেল সন্তোষবাবু। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন সন্তোষবাবু। মধ্যরাতে চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে যে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন, কর্নেলবাবু তাঁদের মধ্যে একজন।
ভারতের হয়ে সব বড় যুদ্ধ লড়েছে বিহার রেজিমেন্ট
স্বাধীনতার পর ভারতীয় সেনা যত বড় যুদ্ধ লড়েছে তার প্রত্যেকটায় অংশ নিয়েছে বিহার রেজিমেন্ট। এর মধ্যে কার্গিল যুদ্ধ অন্যতম। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো এবং সোমালিয়ায় রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা অপারেশনেও অংশ নিয়েছিল বিহার রেজিমেন্ট।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণ করা টুইটে মোক্ষম 'ভুল' রাহুল গান্ধীর, পাল্টা খোঁচা জেপি নাড্ডার