মাত্র ৫০ হাজার টাকার মাসোহারার বিনিময়ে ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন নথি বিকিয়ে যাচ্ছিল!
প্রতি মাসে মাত্র ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন নথি বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানের হাতে। মেহমুদ আখতার নামে যে পাকিস্তানি চরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে থেকে একথা জানা গিয়েছে।
নয়াদিল্লি, ২৮ অক্টোবর : প্রতি মাসে মাত্র ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন নথি বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানের হাতে। নয়াদিল্লির দূতাবাস থেকে মেহমুদ আখতার নামে যে পাকিস্তানি চরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে জেরা করে এই কথা জানা গিয়েছে। [পাকিস্তানি চর মেহমুদ আখতার সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জেনে নিন একনজরে]
মেহমুদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে গ্রেফতার আর দুই রাজস্থানি ব্যক্তি যার মধ্যে একজনের নাম মৌলানা রমজান খান রাজস্থানের নাগাউরের একটি মসজিদে শিক্ষক। সেখানে ৪০টি বাচ্চাকে সে পড়াতো। তার বিনিময়ে মাসে ২ হাজার টাকা পেত। এছাড়া আরও তিন হাজার টাকা তাকে দেওয়া হতো।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, এই রমজান খানকেই টার্গেট করে মেহমুদ। জানতে পারে রমজানের সঙ্গে সেনা আধিকারিকদের ভালো যোগাযোগ রয়েছে। ফলে সেনার খবর সে ভালো জোগাড় করতে পারবে। সেটা ভেবেই রমজানকে মাসিক ৫০ হাজার টাকার মাসোহারার টোপ দিয়ে রাজি করায় মেহমুদ।
দাবি করে, সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কে গোপন তথ্য তাকে জোগাড় করে দিতে হবে। বদলে রমজানকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা করে দেবে মেহমুদ। এই মেহমুদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে গ্রেফতার করার পরই রমজানের খোঁজ পান গোয়েন্দারা। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কেন রমজানকে বাছল মেহমুদ
এলাকায় শিক্ষক হিসাবে ইমেজ ভালো ছিল রমজানের। তাকে চর হিসাবে কাজে লাগালে কেউ সন্দেহ করবে না। এর পাশাপাশি ওর সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগও সুবিধা করে দিয়েছিল মেহমুদদের। তবে রমজানের পাশাপাশি আর এক সঙ্গী প্রয়োজন ছিল চরবৃত্তির জন্য। সেজন্য সুভাষ জাহাঙ্গীর নামে আর একজনকে বাছা হয় যে পেশায় ব্যবসায়ী ছিল। এবং যার ব্যবসা ঠিকমতো চলছিল না।
জাহাঙ্গীর যাতে ভালো ব্যবসা করতে পারে, আরও টাকা রোজগার করতে পারে, এসমস্ত টোপ দিয়ে তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। আর এভাবেই প্রতিবেশী পাকিস্তানের হাতে ভারতের নাগরিকদের হাত দিয়েই গোপন নথি ফাঁস হচ্ছিল।