আইনি লড়াই শেষ, ১০৪৫ পৃষ্ঠার অযোধ্যা মামলার রায় এখনও রহস্যাবৃত
আইনি লড়াই শেষ, ১০৪৫ পৃষ্ঠার অযোধ্যা মামলার রায় এখনও রহস্যাবৃত
শনিবার অর্থাৎ ৯ই নভেম্বর অবশেষে প্রায় দু’দশক ধরে চলা আইনি লড়াইয়ে ইতি টানে সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রাম মন্দির তৈরির পক্ষে 'সর্বসম্মতি’ ক্রমে রায় দেয় দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়। কিন্তু রায়দানের সময় ভগবান রামের সঠিক জন্মস্থান নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় বিচারকদের মধ্যে। সূত্রের খবর একজন বিচারক অসন্তুষ্টও হন।
রহস্যাবৃত ১০৪৫ পৃষ্ঠার অযোধ্যা মামলার রায়
১০৪৫ পৃষ্ঠার অযোধ্যা মামলার রায় এখনও রহস্যাবৃত। রয়ছে একাধিক ভিন্নমত পোষণের দৃষ্টান্তও। এই রায়ে প্রাথমিক ভাবে দুটি 'অসঙ্গতি’ ধরা পড়েছে। প্রথমত, এই রায়টি কোন বিচারক লিখেছেন তার নাম নির্দিষ্ট করে কোথাও লেখা নেই। দ্বিতীয়ত, 'সর্বসম্মতি’ ক্রমে গৃহীত রায়ে ভগবান রামের সঠিক জন্মস্থানের বিষয়ে যে বিচারক অসন্তুষ্ট হন তার নামও উল্লেখ করা হয়নি। অযোধ্যা মামলার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের এই 'অসঙ্গতি’ দেশের রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
কোনও সাংবিধানিক বেঞ্চের অধীনে থাকা কোনও মামলার রায় ঘোষণার সময় সেখানে কোন বিচারপতি অন্তিম রায়টি লিখছেন তার নাম উল্লেখ করার রীতি সুপ্রিম কোর্টের দীর্ঘদিনের। তবে এই ক্ষেত্রে ১০৪৫ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতির নাম কেন উল্লেখ করা হলো না সেই বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটছে না। যদিও অনেকেই মনে করছেন মামলার সংবেদনশীলতা বিচার করেই শীর্ষ আদালতের এহেন সিদ্ধান্ত।
রামের জন্মস্থান নিয়ে দ্বিমত পোষণ এক 'অজ্ঞাতপরিচয়’ বিচারপতির
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়াও ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এস এ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আব্দুল নাজির। পাশাপাশি আর একটি কৌতূহলজনক বিষয় হল রায়টিতে ১১৬ পৃষ্ঠার একটি সংযোজনার উল্লেখ পাওয়া যায়। যেখানে মূলত লেখা আছে ওই বিতর্কিত স্থানটি কী ভাবে হিন্দুদের বিশ্বাসের উপর ভর দিয়ে রামের জন্মভূমিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই সংযোজনাটিরও লেখকের নামও রহস্যাবৃত রয়ে গেছে।
সূত্রের
খবর,
এই
প্রসঙ্গে
বিচারকমন্ডলীর
এক
সদস্য
দ্বিমত
পোষণ
করেন।
রায়টির
একেবারে
শেষাংশে
লেখা
আছে,
"
হিন্দু
ভক্তদের
বিশ্বাস
এবং
বিতর্কিত
জমিতে
প্রাপ্ত
প্রাচীন
ভাঙাচোরা
কাঠামোই
গুলি
ভগবান
রামের
জন্মস্থানকে
নিশ্চিত
করে
কিনা
সেই
বিষয়ে
দ্বিমত
পোষণ
করেছেন
আমাদের
মধ্যেই
একজন।
উপরোক্ত
কারণ
ও
দিক
নির্দেশনার
সাথে
তিনি
পৃথক
অবস্থায়
রয়েছেন।
তার
মতামত
ও
যুক্তি
সম্মলিত
একটি
সংযোজনাও
যুক্ত
করা
রয়েছে
রায়টির
সাথে।'
অযোধ্যা রায় ঘোষণার সময় ২৪ বার ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার উল্লেখ প্রধান বিতারপতির
অযোধ্যা রায় ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান স্পষ্ট করেছে, বলছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম