সরকারি প্রকল্পে পানীয় জলের গুণগত মান বিচার করবে গ্রামের ৩৭ লক্ষ মহিলা
সরকারি প্রকল্পে পানীয় জলের গুণগত মান বিচার করবে গ্রামের ৩৭ লক্ষ মহিলা
দেশের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে সবসময়ই কোনও না কোনও পরিকল্পনা নিয়ে আসছে কেন্দ্র সরকার। সেরকমই গোটা দেশের ৩৭,৫০০০ জন মহিলাকে চাকরি দেবে সরকারের নতুন জলশক্তি মন্ত্রক। ব্লুমবার্গ ইকুয়ালিটি সামিটে এসে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ তথা বস্ত্র মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানান, সরকারের মিশনই হল ৭৫০,০০০ গ্রামের প্রত্যেকটি থেকে পাঁচজন মহিলাকে স্বনির্ভর করা। এই মহিলাদের জলের গুণগত মান, কীভাবে জলকে স্বচ্ছ রাখবে এবং কি করে এই জলকে উদ্যোগে পরিণত করা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, 'জলশক্তি মন্ত্রকের আওতায় চিহ্নিত জেলাগুলিতে মহিলাদের জন্য ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান হবে। বর্তমানে আমরা ২৫৬টি জেলাতে জল–সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছি। আমরা এই জেলার মহিলাদেরই প্রশিক্ষণ দেব। প্রসঙ্গত, ভারতে মহিলা শ্রমিকের যোগদান মাত্র ২৭ শতাংশ, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। দেশের এই চিত্রকে বদল করার প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, মহিলাদের কর্মসংস্থানের যোগান দিতে সরকার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, 'মহিলাদের স্বনির্ভর করে গড়ে তোলাই সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। জন ধন যোজনার মাধ্যমে ১৯.৯ কোটি মহিলা (৩৭ কোটি অ্যাকাউন্ট) গত পাঁচ বছরে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এছাড়াও মুদ্রা প্রকল্পের আওতায় ২০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ মহিলারাই এই সুবিধা পেয়েছে।’
স্মৃতি ইরানি জানান, মহিলাদের কর্মসংস্থানের এই বিষয়টি একেবারে তৃণমূল স্তর থেকেই ভাবা হয়েছিল। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদীরই এই চিন্তা–ভাবনা ছিল। তিনি আরও জানান, স্থানীয় পঞ্চায়েতে মহিলা নেতৃত্বকে বিজয়ী করতে মোদী গ্রামবাসীকে উৎসাহিত করতেন। যে গ্রাম থেকে মহিলা প্রতিনিধিকে বেছে নেওয়া হত সেই গ্রামকে অতিরিক্ত সরকারি অর্থ দান করা হতো। স্মৃতি ইরানি জানান, চাকরির ক্ষেত্রে সরকার মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়ে তা ২৬ সপ্তাহ করে দিয়েছে এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই মহিলারা যাতে পিছনে না থেকে যায় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংস্থার। পুরুষ–শাসিত সমাজেও মহিলা কর্মচারীদের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রেই তার নজির দেখা যাচ্ছে বলেও জানান স্মৃতি ইরানি।
বিশ্ব ক্ষুধার সূচকে পাকিস্তানের নিচে নেমে গেল ভারত