লকডাউনের জেরে কমেছে দূষণ, প্রায় দু-দশক পর পান করা যাচ্ছে হরিদ্বার-ঋষিকেশের গঙ্গার জল
লকডাউনের জেরে কমেছে দূষণ, প্রায় দু-দশক পর পান করা যাচ্ছে হরিদ্বার-ঋষিকেশের গঙ্গার জল
লকডাউনের জেরে একপ্রকার বাধ্য হয়েই গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। রাস্তায় দেখা নেই কোনও যানবাহনের, বন্ধ রয়েছে সমস্ত শিল্প তালুই। বন্ধ রয়েছে কলকারখানও। একইসাথে নিখাদ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পর্যটকের আনাগোনাও বন্ধ।
দূষণ কমে যাওয়া নতুন করে সেজে উঠছে প্রকৃতি
কিন্তু জেরে জেরে দেশের অর্থনীতি ক্রমেই হেলে পড়লেও প্রকৃতি কিন্তু খুশি। মানুষ্য অত্যাচারের হাত থেকে দু-দণ্ড নিস্তার পেয়ে নিজেকে যেন একটু একটু করে সাজিয়ে নিচ্ছে প্রকৃতি। তারই প্রমাণ হরিদ্বারে বিশুদ্ধ গঙ্গার জল। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে গঙ্গার জল নাকি এমন শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে যে এখন নিশ্চিন্তে তা পান করা যায়। করোনা ভাইরাস লকডাউন চলাকালীন দেশের প্রধান নদী ফিরে পেয়েছে তার আসল রূপ।
লকডাউনের পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হরিদ্বার-ঋষিকেশ
এদিকে পরিবেশ বিজ্ঞানী বিডি জোশির মতে গঙ্গার এত পরিষ্কার জল বহু দশক দেখতে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে দেশব্যাপী চলমান লকডাউনের জেরে শিল্প ও পর্যটন ক্রিয়াকলাপও তীব্র হ্রাস পেয়েছে। সূত্রে খবর, তীর্থক্ষেত্র হরিদ্বার, ঋষিকেশ লকডাউনের পরেই বন্ধ করে দেওয়া হেয়েছে। কোনওঘাটে সেখানে কেউ স্নান করছেন না। তাই নদীর জল অত্যাধিক পরিষ্কার রয়েছে। নদীর ঘাট থেকেই নাকি মাছ ও অন্য প্রাণীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
জলের মান বেড়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ
বর্তমানে লকডাউনের জেরে জনজীবন স্তব্ধ। তাতে গঙ্গার জলে দ্রবীভূত কঠিন পদার্থ, শিল্পবর্জ্য, হোটেল-ধর্মশালা থেকে নির্গত ময়লা এসে পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার জেরেই বর্তমানে হরিদ্বার-ঋষিকেশের গঙ্গার জলের শ্রী ফিরেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই প্রসঙ্গে আইআইটি-বিএইচইউ অধ্যাপক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘গঙ্গা দূষণের ১০ ভাগের একভাগ আসে কলকারখানা ও হোটেলের বর্জ্য থেকে। এই সবই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দূষণ স্বাভাবিক কারণে কমে গিয়েছে। আর জলের মান বেড়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ।' তবে অবশ্যই তা পরিশোধন করে তেই পান করা উচিত বলে মত বেশিরভাগপরিবেশবিদেরই।
ভাইরাস থাকবে অনেকদিন! এখনও অনেক লড়াই বাকি, করোনা সঙ্কটে সতর্কবাণী হু-র