টেস্টিংয়ে ৩ কোটি পেরিয়েছে দেশ, তা আদৌও পর্যাপ্ত কী ভারতের জন্য?
টেস্টিংয়ে ৩ কোটি পেরিয়েছে দেশ, তা আদৌও পর্যাপ্ত কী ভারতের জন্য?
দেশে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা ভাইরাস। তবে তার সঙ্গে বেড়েছে টেস্টের সংখ্যাও। ১৭ অগাস্ট সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে দেশ করোনা টেস্টে ৩ কোটিতে পৌঁছালো। সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, 'ব্যাপকহারে এবং সময়মতন পরীক্ষায় ভারতে এখনও ৩ কোটির বেশি টেস্ট করা হয়েছে'। টেস্টিংয়ে চিন, আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরই স্থান রয়েছে ভারতে। পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের সাম্প্রতিক বৃদ্ধির একটি বড় অংশ কম নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিজেন পরীক্ষাগুলি হতে পারে।
মহামারির প্রথম কয়েক মাসে টেস্টিংয়ে পিছিয়ে ছিল ভারত
মহামারির প্রথম কয়েক মাস বিশ্বের সব দেশের টেস্টিংয়ের তুলনায় ভারত অপেক্ষাকৃতভাবে পিছিয়ে ছিল, যে কারণে নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকে। মে মাসের শেষের দিকে, ২১৫টি দেশের মধ্যে ৫২টি দেশে জনসংখ্যার তুলনায় ভারতের চেয়ে কম টেস্টিং হয়েছে। গত মাসে এই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটে। ভারত ৩ কোটি টেস্টিংয়ে পৌঁছায়। যার শেষ এক কোটি টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে মাত্র দু'সপ্তাহে। প্রথম এক কোটি টেস্ট হয় ১৬৪ দিনে এবং দ্বিতীয় এক কোটি টেস্ট হয়েছে মাত্র ২৭ দিনে।
মে মাসের শেষে পরিস্থিতি বদল হয়
শেষ দু'সপ্তাহে, ভারতে প্রায় প্রত্যেক দিনই ছয় লক্ষের বেশি মানুষের টেস্ট হয়েছে। যখন প্রতিদিন এক লক্ষেরও কম টেস্টিং হচ্ছিল সেখান থেকে মে মাসের শেষের দিকে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
ভারতের টেস্টিং কি পর্যাপ্ত
ভারতে যেভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বৃদ্ধি হচ্ছে, জনসংখ্যার তুলনায় টেস্টিং হচ্ছে খুবই কম, অন্যান্য করোনা বোঝা দেশের তুলনায় ভারতে টেস্টিং অনেকটাই কম, ব্যতিক্রমী মেক্সিকো। বর্তমানে, প্রতিটি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় ভারতে ২১,৭৪২টি টেস্ট হয়। বিশ্বজুড়ে ১২৩টি দেশে, যেখানে ভারতের চেয়ে বেশি জনসংখ্যা রয়েছে সেখানে টেস্টিং বেশি হচ্ছে, এমনকী ইরানেও। তবে ভারতের টেস্টের ইতিবাচক হার ৯ শতাংশ, যা অপেক্ষাকৃত কম। সেই তুলনায় করোনা-বোঝাযুক্ত রাশিয়া, স্পেন ও আমেরিকায় টেস্টের তুলনায় সংক্রমণের তুলনায় কম।
রাজ্যগুলিকে অ্যান্টিজেন টেস্টিংয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে
এখনও পর্যন্ত, ভারতে টেস্টিংয়ের ইতিবাচকতা ক্রমাগত বাড়ছে, তবে এটি পরিবর্তন হতে পারে এবং এটি অবশ্যই একটি ভাল লক্ষণ নয়। জুনের পর থেকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ তাড়াতাড়ি এবং সস্তার দ্রুত অ্যান্টিজেন টেস্ট যুক্ত করে তাদের পরীক্ষাগুলি বাড়ানোর জন্য রাজ্যগুলিকে চাপ দিচ্ছে। যদিও এটি বেশিরভাগ রাজ্যই করা শুরু করে দিয়েছে, এটি পজিটিভ হারগুলিকেও প্রভাবিত করছে, কারণ অ্যান্টিজেন পরীক্ষাগুলি আরটি-পিসিআর পরীক্ষার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম সংবেদনশীল।
রাশিয়ার প্রথম কোভিড ভ্যাকসিন 'স্পুটনিক ভি’ ৪০ হাজার জনের ওপর পরীক্ষা করা হবে